২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার অনুষ্ঠানে কোরান, গীতা এবং বাইবেল পাঠ দিয়ে এক বিশেষ মুহূর্ত সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ১ মার্চ সেই দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা হাসনাতের গলায় শোনা গেল এক ভিন্ন সুর। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “রাজনীতির আগেও আমার পরিচয়, আমি একজন মুসলমান। আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করি, সবসময় করেই যাব। আমার বিশ্বাসকে কিংবা আমার দেশের মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত করে কোনও রাজনীতি আমি কখনও করব না।” হাসনাতের এই মন্তব্যে তাঁর পরিচয় এবং বিশ্বাসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ফুটে উঠেছে।
হাসনাত তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, “স্পষ্ট কণ্ঠে জানিয়ে দিতে চাই, ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছুই আমার বা আমাদের রাজনীতিতে কখনও জায়গা পাবে না। যা হয়েছে, সেটা ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমরা নির্ভুল নই। কোনও ভুল করলে আপনারা আমাদের নিজের ভাই মনে করে ভুল ধরিয়ে দেবেন, এবং ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘অথবা’ ব্যাতিত আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নেব।” এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মানিক মিয়াঁ অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চে দলের ঘোষণার সময় প্রথমে কোরান পাঠ করেন দলের সদস্যেরা, তারপর গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটকের মতো ধর্মগ্রন্থগুলিও পাঠ করা হয়। এই আবহে হাসনাতের পোস্টটি বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ, যা তাঁর দলের উদ্দেশ্য এবং মূল্যবোধের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়।
উল্লেখ্য, গতকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির ১৭১ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে হাসনাত আবদুল্লাহ মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল)। এদিকে হাসনাত ছাড়াও দলের শীর্ষ ১০ পদে রয়েছেন আহ্বায়ক মহম্মদ নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদিব, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি, যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। এছাড়া কমিটিতে ১৬ যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩২ যুগ্ম সদস্য সচিব, ১২ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ৪৪ সংগঠক, ১৪ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এবং ৪৩ সদস্য রয়েছেন।