এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে আপনি কি নিজের পকেট ভালো করে চেক করেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে এবার থেকে অবশ্যই করুন! কারণ সামান্য একটা কয়েনও আপনার জন্য ঝামেলার কারণ হতে পারে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! সম্প্রতি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক যাত্রীর পকেটে থাকা একটি কয়েন ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কী এমন হয়েছিল? শুনলে আপনিও অবাক হবেন!
সম্প্রতি একজন আন্তর্জাতিক যাত্রী, যিনি রোম থেকে দিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এ (Terminal 3) অবতরণ করেছিলেন। তবে তাকে শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা গ্রেফতার করে ফেলে। কারণ জানলে হয়তো আঁতকে উঠবেন। তার পকেটে থাকা কয়েনগুলো সাধারণ কয়েন ছিল না, বরং সেগুলি ছিল বিশেষভাবে তৈরি স্বর্ণমুদ্রা।
কীভাবে ধরা পড়লেন এই যাত্রী?
বিদেশ থেকে আসার পর প্রতিটি যাত্রীকেই কাস্টমস চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই ঘটনা শুরু হয়েছিল এখান থেকেই। যাত্রীটি যখন গ্রীন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন, তখন কাস্টমসের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (AIU) তাকে থামিয়ে দেয় এবং ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর (DFMD) দিয়ে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ঠিক এখানে ঘটে যায় অঘটন। হঠাৎ করেই মেটাল ডিটেক্টরে বিপ বিপ শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
এই শব্দ শুনেই এয়ারপোর্টের কর্মকর্তারা সতর্ক হয়ে যান এবং যাত্রীকে আলাদা করে তার পুরো শরীর তল্লাশি শুরু করেন। প্রথমে তিনি দাবি করেন, তার কাছে কিছুই নেই। কিন্তু যখন তার পোশাক ও ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়, তখন তার পকেট থেকে চারটি বিশেষ কয়েন উদ্ধার করা হয়। আপনিও অবাক হবেন জানলে যে, এই কয়েনগুলো দেখতে সাধারণ কয়েনের মতোই ছিল। তবে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, কয়েনগুলো আসলে সম্পূর্ণ সোনার তৈরি।
কয়েন থেকে বেরোলো সোনার পাত
যাত্রীটির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েনগুলির ওজন বেশি না হলেও, কাস্টমস কর্মকর্তারা আরো গভীর তদন্ত করতে শুরু করেন। এরপর আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। তার কাছ থেকে সাতটি ধাতব পাতও উদ্ধার হয়, যা সম্পূর্ণ সোনা দিয়ে তৈরি ছিল। তবে এখানেই শেষ নয়—কয়েন ও পাতের মধ্যে মোট ৪৯৬ গ্রাম সোনা লুকানো ছিল। এরপরে কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেন এবং এখন তার স্বর্ণ পাচার চক্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।