তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী BJP, গত শনিবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতেই বদলে গেল রাজধানীর রাজনৈতিক সমীকরণ। প্রায় তিন দশক পর দিল্লির বুকে গেরুয়া ঝড় উঠল, আর সেই সঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়ল আম আদমি পার্টি। হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন অধরাই রইল, ১০ বছর পর দিল্লিবাসী মুখ ফিরিয়ে নিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিক থেকে। বিজেপির এই জয় যেন গোটা দেশে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দিল। বাংলার প্রতিটি জেলায় বিজেপি সমর্থকদের আনন্দ-উল্লাস ছিল চোখে দেখার মতো। আর এই রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হল পান্ডুয়ার নির্বাচন।
গত রবিবার পান্ডুয়ার সিমলাগর ভিটাসিন পঞ্চায়েতের পোটবা সমবায় সমিতি লিমিটেডের বোর্ড অফ ডাইরেক্টর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ১২টি আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল বাম, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ৮৩৩ জন ভোটারের উপস্থিতিতে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পোটবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ বিকেল ৩টায় শেষ হলেও গণনা শেষ হতে রাত হয়ে যায়। শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে ছিলেন, পিছিয়ে পড়ে বাম ও বিজেপি। একের পর এক আসনে জয়লাভ করতে থাকেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
তৃণমূলের কাছে ধরাশায়ী BJP
সবশেষে চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, সমবায়ের সবকটি আসনেই জয়লাভ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। বাম এবং বিজেপির কোনও প্রার্থীই খাতা খুলতে পারেননি। এই প্রথমবার পোটবা সমবায় সমিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল, আর তাতেই তৃণমূলের একচেটিয়া জয়। বিশেষ করে এই ফলাফল বিজেপির জন্য বড় ধাক্কা, কারণ কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বাংলায় এসে ঘোষণা করেছিলেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তবে এই নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি কর্মীদের হতাশাই বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। রাতে সবুজ আবির খেলে, ঢাকের তালে বিজয় উদযাপন করতে দেখা যায় তাদের।
পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আনিসুল ইসলাম এই ঐতিহাসিক জয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন সব আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। সিপিএম এবং বিজেপি একটি আসনেও জয় পায়নি। বাংলার বাইরে কী হচ্ছে, সেটা আমাদের মাথাব্যথার বিষয় নয়। বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা ও উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর উপর ভরসা রেখেছেন। তাই কোনও বিরোধী দল আমাদের ধারে কাছেও আসতে পারেনি। আমরা ভোটদাতাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের পাশে থেকেছেন এবং উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন।