JKNews24 Bangla, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় আড়াই বছর আগে, অর্থাৎ ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সে সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় পার্থের বাড়িতে SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকদের যেতে দেখা গিয়েছিল। এরপর গ্রেফতারির পর পার্থকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এবং তার পর থেকেই জেলে পার্থের একের পর এক শারীরিক অসুস্থতার খবর সামনে আসছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আর তারপর থেকে তিনি জেলেই রয়েছেন। যদিও অন্যান্য গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জামিন পেয়ে গেছেন, পার্থের জামিন আটকে গেছে। একাধিক বার জামিনের আবেদন করা হলেও আদালত কোনো সাড়া দেয়নি। অবশেষে ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে পার্থের জামিন মঞ্জুর করে জানায়, চার্জ গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ হয়ে গেলে ১ ফেব্রুয়ারির আগেই জামিন পেতে পারেন তিনি। এই আবহে, গত সোমবার ED মামলায় জামিন পেলেও, CBI-এর মামলার কারণে এখনও জেলবন্দী থাকতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এডি-র মামলায় জামিন পেলেও, গত সোমবার সন্ধ্যায় ফের অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাকে তাড়াতাড়ি SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলেও, পরে তাকে কার্ডিওলজির ইমার্জেন্সিতে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে আবার জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। তবে, জেলের তরফ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন ভাল এবং স্থিতিশীল রয়েছেন। জেলে বারবার অসুস্থতার কথা উঠলে, জেল কর্মীরা পার্থের অসুস্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে তাঁর খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করছেন। তাদের মতে, এই বয়সেও নাকি যথেষ্ট সংযমের অভাব রয়েছে।
খাবারই পার্থর অসুস্থতার প্রধান কারণ!
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেল হেফাজতে থাকা বন্দিরা তাদের পরিবারের মাধ্যমে জেল ক্যান্টিন থেকে কুপন কেটে দিয়ে খাবার কিনতে পারেন। সেই সূত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায়ই ওই কুপন দিয়ে জেলের ক্যান্টিন থেকে খাসির মাংস কিনে খেতেন। তবে শুধু মটন নয়, এর সঙ্গে চিংড়ি মাছও থাকত। এদিকে, পার্থর শরীরে কোলেস্টরলের সমস্যা রয়েছে, এবং চিকিৎসকরা বারবারই পরামর্শ দেন যে কোলেস্টরল বেশি থাকলে রেড মিট এবং চিংড়ি মাছ এড়িয়ে চলা উচিত। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এসব খাবার খেতেন, যার ফলে তার পা ফুলে যাওয়া এবং বুকে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিত।