দেশের বহু বিমানবন্দর নিয়ে এবার বড় পদক্ষেপের পথে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে ভারত ১৩টি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া আবার শুরু করেছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন! এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ১৩টি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের ব্যাপারে একটি নোট প্রকাশ করেছে। এটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে চলেছে।
সরকার ২০২৬ অর্থবছরের শেষের দিকে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে খবর। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশের সময়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন যে, জাতীয় মুদ্রাকরণ পরিকল্পনার দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে আগামী পাঁচ বছরে ১০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ মুদ্রাকৃত করা হবে। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ২৫টি বিমানবন্দরকে সম্পদের মুদ্রাকরণের জন্য নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র। ২০২১ সালে বিজেপি সরকারের অধীনে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের দ্বিতীয় দফার জন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (এএআই) বোর্ড ১৩টি বিমানবন্দরের নাম অনুমোদন করেছিল।
এরপর বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক একটি মন্ত্রিসভা নোট তৈরি করেছিল। তবে, রায়পুর এবং ইন্দোর বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ সরকার আপত্তি জানালে তালিকাটি ১১টি বিমানবন্দরে নামিয়ে আনা হয়। এই প্রথমবারের মতো সরকার বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার জন্য সাতটি ছোট বিমানবন্দরকে ছয়টি বড় বিমানবন্দরের সঙ্গে একত্রিত করেছে। এর ফলে বারাণসীকে কুশিনগর ও গয়ার সঙ্গে, অমৃতসরকে কাংড়ার সঙ্গে, ভুবনেশ্বরকে তিরুপতির সঙ্গে, রায়পুরকে আওরঙ্গবাদের সঙ্গে, ইন্দোরকে জবলপুরের সঙ্গে এবং তিরুচিরাপল্লীকে হুবলির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, “অর্থ মন্ত্রক পরামর্শ দিয়েছে যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত মন্ত্রককে আগামী তিন বছরের জন্য অবকাঠামো প্রকল্পের পাইপলাইনের একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এটি পাবলিক বেসরকারী অংশীদারিত্ব রুটে ধীরগতির বিনিয়োগকে নাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের নগদীকরণ সেই পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।