কম খরচে লাভজনক ব্যবসা: বর্তমান সময়ে বেকারত্ব যেন বড় এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরির সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেকেই বিকল্প হিসেবে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে স্বল্প বিনিয়োগে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় এমন ব্যবসা (Low Investment Business)। কিন্তু অনেকেই সঠিক ব্যবসার ধারণা পাচ্ছেন না। আপনিও কি এমন কোনো লাভজনক ব্যবসার সন্ধান করছেন? তাহলে ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা হতে পারে দুর্দান্ত একটি বিকল্প!
কেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা লাভজনক?
ঝাড়ু আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে, আর এখনো এর চাহিদা একটুও কমেনি! বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের ঝাড়ু পাওয়া যায়— ঘাসের ঝাড়ু, নারকেল পাতার ঝাড়ু, খেজুরের পাতা বা কর্ন হাস্ক দিয়ে তৈরি ঝাড়ু ইত্যাদি। এমনকি প্লাস্টিকের ঝাড়ুও রয়েছে, তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি ঝাড়ুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কারণ এগুলো টেকসই এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সক্ষম। শহর হোক বা গ্রাম, ঝাড়ুর ব্যবহার সব জায়গাতেই অপরিহার্য। ফলে এটি এমন একটি ব্যবসা, যেখানে কখনোই চাহিদার অভাব হয় না।
কীভাবে শুরু করবেন ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা?
ঝাড়ু তৈরির ব্যবসা সহজে শুরু করা সম্ভব এবং এটি লাভজনকও হতে পারে। সাধারণত এই ব্যবসা দুটি উপায়ে চালানো যায়—
হাতের কাজের মাধ্যমে
যদি আপনি কম বিনিয়োগে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে শ্রমিকদের সাহায্যে ঘরেই ঝাড়ু তৈরি করতে পারেন। এটি মূলত ম্যানুয়াল পদ্ধতি, যেখানে ঝাড়ু বাঁধাই থেকে শেষ পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু হাতে করা হয়।
মেশিনের মাধ্যমে
যদি আপনি দ্রুত উৎপাদন এবং ভালো মানের পণ্য তৈরি করতে চান, তাহলে ছোট মেশিন ব্যবহার করাই ভালো। এটি শ্রম এবং সময় দুটোই কমাবে এবং বেশি সংখ্যক ঝাড়ু তৈরি করা সম্ভব হবে।
ঝাড়ু তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল
✔️ ব্রুম হ্যান্ডেল ক্যাপ – ঝাড়ুর হাতল মজবুত করতে ব্যবহৃত হয়।
✔️ প্লাস্টিক টেপ – ঝাড়ুর ঘাস বা আঁশ শক্ত করে বাঁধার জন্য দরকার।
✔️ স্ট্র্যাপিং ওয়্যার – পুরো কাঠামো দৃঢ় করতে সাহায্য করে।
✔️ ঘাস বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান – সাধারণত ব্রুম ঘাস, নারকেলের আঁশ ইত্যাদি দিয়ে ঝাড়ু তৈরি করা হয়।
বিনিয়োগ কত লাগবে এবং লাভ কত হবে?
ঝাড়ুর ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা, যেটি ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই শুরু করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে ছোট পরিসরে যদি শুরু করেন তাহলে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়। আপনার উৎপাদিত ঝাড়ুর গুণমান যত ভালো হবে, তত আপনি দাম বেশি পাবেন। বড় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করলে বা অনলাইনে বিক্রি করলেও ভালো পরিমাণে মুনাফা পেতে পারেন।