India-Pakistan News: ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক হামলা ও সংঘাত ঘিরে উত্তেজনা কেবল সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকেনি—তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সামাজিক মাধ্যমেও। ফেসবুক, এক্স (টুইটার), হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও, যার অনেকগুলোই বিভ্রান্তিকর বা পুরোপুরি ভুয়া।
এইসব পোস্টে দেখা যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া কিংবা বিস্ফোরণের দৃশ্য—যেগুলোর অনেকটাই পুরোনো বা অন্য কোনো দেশের ঘটনার। তবে এগুলোকে এই মুহূর্তের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে পিআইবি-র ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এবং স্বতন্ত্র সংস্থা Alt News ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভুয়া দাবি ও ছবির সত্যতা যাচাই করেছে। তারা বলছে, অনেক ভিডিও-ছবিই আগে থেকে ইন্টারনেটে থাকা, বা অন্য প্রেক্ষাপটে ধারণ করা, যেগুলো এখন নতুন রূপে ছড়ানো হচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকম খবর। কেউ বলছে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, কেউ বলছে সীমান্তে গুলি চলছে। এত সব খবরে মানুষ বুঝতে পারছে না আসল সত্যি কী। ঠিক এই সময়েই ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) সর্তকতার বার্তা দিলো।
কী করবেন
এই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চোখে পড়ে নানা ধরনের ছবি, ভিডিও আর খবর। তবে সবকিছু সত্যি না-ও হতে পারে। তাই যেকোনো কিছু শেয়ার করার আগে বা বিশ্বাস করার আগে একটু সময় নিয়ে যাচাই করে নিন—ফ্যাক্ট চেক করুন।
যদি কোনো খবর বা পোস্ট আপনাকে বিভ্রান্তিকর মনে হয় বা সন্দেহ জাগে, তাহলে সেটিতে রিপোর্ট করুন। কারণ, একটা ভুয়ো খবর অনেকের মনে অযথা আতঙ্ক ছড়াতে পারে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল—সরকারের তরফে অফিসিয়ালি যেসব তথ্য বা ঘোষণা প্রকাশ করা হয়, সেগুলোকেই বিশ্বাসযোগ্য ধরে নিন। বাকি তথ্য যাচাই না করে কখনোই শেয়ার করবেন না।
আর কি করবেন না
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সকলেরই দায়িত্ববান হওয়া খুব জরুরি। সেনাবাহিনী কোথায়, কখন, কী করছে—এসব বিষয়ে কাউকে কিছু বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও তথ্য শেয়ার করবেন না। নিরাপত্তার কারণে এসব তথ্য গোপন রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, কোনো আনভেরিফায়েড (যাচাই না-করা) খবর বা পোস্ট দেখলেই সেটাকে সত্যি ধরে নেবেন না। যাচাই না করে কিছু বিশ্বাস করা বা ছড়িয়ে দেওয়া অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এমন কোনো পোস্ট বা বক্তব্য শেয়ার করা এড়িয়ে চলুন যা সমাজে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে পারে বা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সম্প্রীতি রক্ষা করা এই মুহূর্তে আমাদের সবার দায়িত্ব।