বলি অভিনেতা সইফ আলি খান এবং করিনা কাপুরকে বি টাউনের অন্যতম মেগা দম্পতিদের তালিকায় ধরা হয়। এই দম্পতির প্রসঙ্গে যখনই আসে, তাঁদের প্রেম থেকে জীবনের বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়ে নানা আলোচনা প্রকাশ্যে আসে। তাঁরা ২০১২ সালে বিয়ে করেছিলেন। সেই সময় করিনার এই সিদ্ধান্তটির অনেকেই সমালোচনাও করেছিল। কারণ, সইফ সেই সময় বিবাহিত ছিলেন। এবং করিনা যখন সইফকে বিয়ে করেছিলেন তখন অভিনেত্রী তাঁর কেরিয়ারের শীর্ষে বলা চলে।
নবাব পরিবারের বউমা হয়েও ‘স্ট্রাগলার’! কঠিন দাম্পত্যের কথা জানালেন Kareena Kapoor খান।
একদিকে তিনি কাপুর পরিবারের কন্যা। অন্যদিকে আবার নবাব পরিবারের বেগম। সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) স্ত্রী হিসেবে ভোপালের রাজপরিবারের শেষ বেগম Kareena Kapoor ! রাজ কাপুরের নাতনি ‘বেবো’ ছোট থেকেই লাইমলাইটে। কিন্তু এই ডাকসাইটে পরিচয় নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ২৪টি বসন্ত পার করে ফেললেও নিজেকে ‘স্ট্রাগলার’-এর আখ্যা দিলেন করিনা কাপুর (Kareena Kapoor)।
শোনা যায় Kareena Kapoor নাকি ছবি পিছু ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন। এ বিষয়ই সম্প্রতি দ্য উইক ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে এই মোটা পারিশ্রমিক নিয়ে মুখ খোলেন করিনা। সেখানেই করিনা জানান, কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে চরিত্র কিংবা সিনেমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি এখন অনেক সচেতন। কোনও চরিত্র পছন্দ হলে সেটা কম পারিশ্রমিকেও করতে রাজি হয়ে যান। তবে কমার্শিয়াল ফিল্ম হলে সেক্ষেত্রে চড়া পারিশ্রমিক হাঁকান। একথাই জানিয়েছেন করিনা। পাশাপাশি তিনি এও উল্লেখ করে দেন যে, “স্বামীর বাড়িতে বসে ইন্টারভিউ দিচ্ছি। আমি শুধু স্ট্রাগলই করে যাচ্ছি।”
শুধু তাই নয়, ‘ক্রিউ’ অভিনেত্রী সইফ আলি খানের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য নিয়েও মুখ খোলেন। ২০১২ সালে পরিবারকে সাক্ষী রেখে বিয়ে করেন সইফ-করিনা। তৈমুর, জেহ- দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁদের সুখের সংসার। মাঝেমধ্যেই সইফের সঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি দেন করিনা। তাঁদের দাম্পত্যজীবনে ঠিক কোন বিষয়টি নিয়ে ঘন ঘন অশান্তি হয়? সেকথাও জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রথমেই করিনা জানান, সইফের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক বেশি দায়িত্বশীল হতে শিখেছেন। এর পাশাপাশি করিনা কাপুর বলেন, “বিবাহিত জীবনে কঠিন সময়ও দেখছি। এরকমও হয়েছে, শুট সেরে ভোর ৪.৩০টেয় বাড়ি ফিরেছে সইফ। আমি সকালে যখন বেরচ্ছি, তখন ও ঘুমোচ্ছে। পরেরদিন আবার ব্যাংকক চলে যেতে হল। তাই এক বাড়িতে থেকেও দেখা হয় না অনেকসময়। স্বামী-স্ত্রী যদি দুজনেই অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে সম্পর্কে সময় দেওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে ওঠে। আমাদের তো ক্যালেন্ডার দেখে দিনক্ষণ ঠিক করে রাখতে হয়, কবে কখন দেখা হবে।”