Murshidabad Deaths: মঙ্গলবার, রাজেশ প্রথমে তার মেয়ে রক্তিমা দাসকে বিষ খাওয়ান। এরপর, তিনি তার ছেলে আর্যবীরের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি জিয়াগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গঙ্গার ঘাটে চলে যান, যেখানে একসাথে মরণঝাঁপ দেন।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের যুবক রাজেশ দাস। স্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ ও হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি, এবং এর পরেই দুই নাবালক সন্তানকে বিষ খাইয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থানার নিহালিয়া-স্টিমার ঘাট এলাকার বাসিন্দা রাজেশ দাসের সঙ্গে কয়েক বছর আগে মৌ দাসের বিয়ে হয়। কিছু মাস আগে, মৌ স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা নিয়ে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। তবে, মৌ পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে বেরোতে চাননি এবং স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে মাস দুয়েক আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।
যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে রাজেশ প্রথমে তার মেয়ে রক্তিমা দাসকে বিষ খাইয়ে দেন। তারপর, তিনি তার ছেলে আর্যবীর দাসের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। এরপর, দুই সন্তানকে নিয়ে রাজেশ জিয়াগঞ্জ ১০ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গঙ্গার ঘাটে চলে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এক সন্তানের হাত ধরে এবং অন্যজনকে কোলে নিয়ে রাজেশ নদীর ঘাটে গিয়ে একসাথে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করতে নামেন এবং তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাদের জিয়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনজনকেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
রাজেশের মা খুকু দাস জানিয়েছেন, তিনি একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন এবং সেখানেই কাজ করতে গিয়ে খবর পান যে, তার ছেলে রাজেশ তার নাতি-নাতনিকে নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। প্রৌঢ়া আরও বলেন, “আমার বৌমা অন্য এক যুবকের সঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকে ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। মাঝেমাঝে সে সন্তানদের উপরেও বিনা কারণে রেগে যেত। আমার মনে হয়, বৌয়ের উপর রাগ থেকেই এই কাজটা করল ও।” এই ঘটনা তার পরিবারে গভীর শোক এবং দুঃখের ছায়া ফেলেছে।