Kasba Attempt to Murder Case: গত ১৫ নভেম্বর, নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এক আততায়ী। এই ঘটনার পর, পুলিশ এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা সুশান্তকে খুন করতে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল।
কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশান কলোনি থেকে শুক্রবার বিকেলে মহম্মদ আলি নামে ওই ব্যক্তিকে ধরেছে পুলিশ। অভিযোগ, সুশান্তকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন তিনি এবং এমনকি, বিহার থেকে অস্ত্র আনার কাজেও তার ভূমিকা ছিল।
গত ১৫ নভেম্বর সুশান্তকে নিজের বাড়ির সামনে লক্ষ্য করে গুলিতে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এক আততায়ী। ওই আততায়ী যুবরাজ সিংহকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে, সুশান্তকে খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন গুলজ়ার। তাঁর মাধ্যমেই উঠে আসে মহম্মদ আলি-এর নাম। ঘটনার পর থেকেই কসবাকাণ্ডে বিহার-যোগ দাবি করে আসছিলেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানায়, গুলজ়ারই সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে তিনি বিহারে তাঁর এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই ব্যক্তির সাহায্যেই ‘শুটার’ ভাড়া এবং অস্ত্র জোগাড় করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, সুশান্তকে খুন করার জন্য বিহার থেকে অস্ত্র আনা হয়েছিল, আর সেগুলি রাখার বন্দোবস্তও করেছিলেন আলি। শুধু অস্ত্র মজুত করতে সাহায্য নয়, খুনের পুরো পরিকল্পনায় আলি সমস্ত রকম সাহায্য প্রদান করেছিলেন।
কসবাকাণ্ডে আলি-র পাশাপাশি আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুটার যুবরাজ, গুলজ়ার ছাড়াও এক আহমেদ আলি নামে ট্যাক্সিচালক-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ফুলবাবু নামে বিহারের এক বাসিন্দাকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়।
সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা-এর ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে দাবি করছে তদন্তকারীরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের চেষ্টায় ব্যবহৃত একটি পিস্তল এবং স্কুটার উদ্ধার করেছে। তবে সূত্র জানাচ্ছে, এই ঘটনায় আরও অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর এখনও নাগাল পায়নি পুলিশ। তদন্তকারীরা এখনো খোঁজ চালাচ্ছেন যে, এই ঘটনার নেপথ্যে আর কারা কারা জড়িত ছিল।