JKNews24 Bangla, কলকাতা: মাত্র ৬০০ টাকায় পদ্মার ইলিশ, ইলিশ প্রেমীদের জন্য সত্যিই দারুণ সুখবর! এবার আর ইলিশের দাম শুনে আফসোস করতে হবে না। কারণ সরকার এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শুনে আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করবে। একদম জলের দরে মিলবে জলের এই রুপোলী শস্য! বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু এটাই বাস্তব। এপার বাংলা হোক বা ওপার বাংলা—ইলিশের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা চিরন্তন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আকাশছোঁয়া দামের কারণে মধ্যবিত্তদের জন্য ইলিশ যেন স্বপ্ন হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে! সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলিশের দাম অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে চলে আসছে। তবে কত দামে পাওয়া যাবে? কোথায় মিলবে? কবে থেকে শুরু হবে সবকিছুর বিস্তারিত জানতে পড়ে ফেলুন আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন!
কম দামে ইলিশ বিক্রির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের!
ঢাকাবাসীর জন্য দারুণ সুখবর! ইলিশের স্বাদ নিতে আর গুনতে হবে না চড়া দাম, কারণ বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) নিয়ে এসেছে সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ কেনার সুযোগ। এবার ৪৫০ গ্রাম থেকে ৮৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাত্র ৬০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাবে! মানে স্বাদও মিলবে, আবার পকেটেও চাপ পড়বে না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইলিশের দাম এতটাই বেড়েছে যে, একসময় যেটা ছিল মধ্যবিত্তের পাতে নিত্যসঙ্গী, এখন তা অনেকের জন্য স্বপ্নের মতো হয়ে গেছে। বাজারে গেলেই ইলিশের দাম শুনে অনেকেই হতাশ হন—মরসুম থাকুক বা না থাকুক, সাধের ইলিশ যেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে! তবে এবার সেই দুঃখের দিন শেষ হতে চলেছে। বাংলাদেশের ইউনুস সরকার এমন এক উদ্যোগ নিয়েছেন, যা ইলিশপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটাবে। কম দামে ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন সাধারণ মানুষও!
কারওয়ান বাজারের বিএফডিসি ভবনের মাছের বাজারে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই কম দামে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “আমরা শুধু এই প্রচেষ্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছি না, বরং আরও বেশি পরিমাণে এই দামে ইলিশ সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে যাব।” ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি এক বড় সুখবর। অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন সস্তায় ইলিশ কিনতে। সরকার বলছে, এই উদ্যোগ শুধু এক দিনের জন্য নয়, বরং ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে এটি নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বিষয়ে বিএফডিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) সুরাইয়া আখতার জাহান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ইলিশ মাছের জোগান না থাকায় বাড়ছে দাম। এই কারণে বিএফডিসি ভর্তুকি মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। আমরা প্রায় ১৭০০ কেজির দুটি চালান হাতে পেয়েছি।