Relationship Mistakes: প্রেমের সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য দুই সঙ্গীকেই সমান সমান চেষ্টা করতে হয়। নাহলে খুব ভাল আক্তা সম্পক নস্ত হয়ে যাই। পুরুষদেরও এক্ষেত্রে যেমন ভুল থাকে, তেমন দোষ থাকে মহিলাদেরও। আজ প্রবন্ধে মহিলাদের ৪ ভুলের উল্লেখ করা হল, যেগুলি ব্রেকআপের অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে!
আপনার প্রেমিককে যদি আপনি প্রতি ছোটখাটো কাজের জন্য প্রশ্ন করেন বা তাকে সবকিছুর জবাবদিহি করতে বাধ্য করেন, তাহলে তা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এভাবে তাকে হয়তো দমবন্ধ অনুভব করায়, যা তার মনে কষ্ট সৃষ্টি করে।
এই অপ্রকাশিত কষ্টই ধীরে ধীরে আপনাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। জবাবদিহির এই চাপ থেকে তিনি একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন, এবং তখন সম্পর্কটি আর আগের মতো সহজ ও সুন্দর থাকে না। এমনকি দূরত্ব এতটাই বাড়তে পারে যে, একে অপরের সঙ্গে কথা বলাটাও কঠিন হয়ে যায়।
তাই, এই অভ্যাস বাদ দেওয়াই ভালো। বরং সম্পর্ককে উপভোগ করুন, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন এবং একে অপরকে স্বাধীনতার জায়গা দিন। বিশ্বাস আর সম্মানের জায়গাটা বজায় থাকলে দেখবেন, সম্পর্ক অনেক মজবুত হয়ে উঠবে।
সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য দুই সঙ্গীকেই সমান চেষ্টা করতে হয়। কারণ এক পক্ষের ছোট্ট ভুলেজাইকারনে ভেগে যেতে পারে ভাল একটা সম্পর্ক। এক্ষেত্রে কখনও পুরুষদের ভুল থাকে, আবার কখনও মহিলারও ভুল করেন। এই প্রবন্ধে মহিলাদের এমনই ৪ ভুলের উল্লেখ করা হল।আপনার সম্পর্কটি আজীবন ঠিক রাখতে চাইলে আপনিও ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন।
- প্রতি কাজের জন্য প্রেমিককে আপনি প্রশ্ন করেন? আর তাঁকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করেন? তাহলে তাঁর নিশ্চয়ই আপনার সঙ্গে এক সম্পর্কে থাকতে দমবন্ধ লাগে। তিনি মনে মনে খুবই কষ্ট পান। আপনাকে জানিয়ে রাখি, এই কষ্টই কিন্তু আপনাদের দুজনের মধ্য়ে দূরত্ব বাড়াবে। আপনাকে জবাবদিহি করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। এক সময়ে এতটাই দূরত্ব বাড়বে যে, একে অপরের কাছাকাছিও আসতে পারবেন না আপনারা। তাই এই কাজটা আর করবেন না। এটা একটা খারাপ অভ্যাস। বরং সম্পর্কটাকে উপভোগ করুন। দুজন দুজনকে সম্মান করুন। দেখবেন সব ঠিক থাকবে।
- প্রত্যেক পুরুষই ব্যক্তিগত পরিসরকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তাঁরা নিজের মতো করে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি যদি সব সময়েই তাঁর ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেন, তাহলে তো তিনি রেগে যাবেনই। আর এখান থেকেই আপনাদের সম্পর্কটা খারাপ হতে শুরু করবে। এক সময়ে আপনাদের ব্রেকআপও হয়ে যেতে পারে!
- সন্দেহবাতিক প্রেমিকা একদমই পছন্দ করেন না পুরুষেরা। তাই আপনিও এই ভুলটা করবেন না। কারণ এমন কাজ আপনার সম্পর্ককে একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছে। তবে আপনার মনে কোনও বিষয় নিয়ে যদি নিরাপত্তাহীনতা থাকে, তাহলে সেটা নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করুন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
- আপনি কি সঙ্গীকে সময়ই দেন না? তাহলে কিন্তু অজান্তেই সম্পর্কের কফিন গড়ছেন। কারণ প্রেমকে উজ্জীবিত রাখার জন্য দুজন সঙ্গীকেই সময় দিতে হবে। নাহলে তো সম্পর্ক খারাপ হতে বিশেষ সময় লাগবে না!
সারাদিন কাজের চাপে তেমন সময় না পেলেও সন্ধ্যায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে একটু কথা বলুন। তাঁর দিনটি কেমন কাটল জানতে চান। দেখবেন তাতেই তিনি খুশি হবেন।