একটি চমকে দেওয়া ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শিমুরালি চৌরাস্তা মোড়ে, সম্পত্তির লোভে সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা! যেখানে স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তি পুত্রের নামে থাকার পর সেই সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য নিজের ছেলেকেই অপহরণের চেষ্টা করলেন এক মা। অভিযোগ, মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এবং শ্বশুরের সহায়তায় তিনি ছেলেকে অপহরণের ছক কষেন। মঙ্গলবার, এই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রকে সাদা গাড়ি করে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ছেলেটি চিৎকার করলে আশপাশের স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং গাড়িটিকে আটকে রেখে চাকদহ থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অঙ্কুশ বিশ্বাস হলেন রাউতাড়ি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। কয়েক বছর আগে অঙ্কুশের বাবা অমিয় বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর আগে অমিয় বিশ্বাস নিজের নাবালক পুত্রের নামে সব সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন। অঙ্কুশের মা তাকে শিমুরালি পঞ্চায়েতের তেলেপুকুর এলাকায় বাপের বাড়িতে রেখে দমদমের এক বাসিন্দাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। ফলে অঙ্কুশ বর্তমানে তার দাদু ও দিদার কাছে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্কুলের পরীক্ষার শেষে এক বন্ধুর মায়ের সঙ্গে চাঁদুড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সৎসঙ্গ এলাকার বাড়িতে ফিরছিল অঙ্কুশ। সেই সময় তারা একটি খাবারের দোকানে দাঁড়ালে, হঠাৎ করে একটি ‘পুলিশের স্টিকার’ লাগানো সাদা গাড়ি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির লোকজন জোরপূর্বক অঙ্কুশ এবং তার বন্ধুর মাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু অঙ্কুশ চিৎকার করতে শুরু করে। অঙ্কুশের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং গাড়িটিকে আটক করেন। পরে, চাকদহ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, এবং অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, এবং এখন বড় প্রশ্ন উঠছে—কেন এই অপহরণের চেষ্টা? এর মধ্যে অঙ্কুশের পরিবার থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উঠে এসেছে। অঙ্কুশের মা বলেন, “আমার ছেলেকে আমি নিয়ে যেতে পারব না?” তার এই মন্তব্য প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে, কারণ আদালত থেকে জানা যায়, অঙ্কুশের দাদু বলছেন, “নাতিকে আমার কাছে রাখার আইনি অধিকার রয়েছে। আদালত থেকে সেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে।” অঙ্কুশ নিজে জানায়, “বাবার টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল আমার মা, তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও শ্বশুর।”