বাংলার শ্রমিকদের নিরাপত্তা: বেঁচে থাকার তাগিদে অনেকেই নিজের রাজ্য ছেড়ে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যান, বিশেষ করে একটু ভালো উপার্জনের আশায়। তবে অনেক সময় এই লড়াই ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে আসে। প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে নানা দুর্ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে অপহরণ ও প্রাণহানির মতো ঘটনাও কম নয়। সম্প্রতি তেমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu), যেখানে বাংলার কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক অপহৃত হয়েছেন। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাদের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে এসেছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত বুধবার ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিক তামিলনাড়ুর একটি বিস্কুট কারখানায় কাজে যোগ দিতে যান। কারখানার পক্ষ থেকে তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি গাড়ি পাঠানো হয়, যেখানে তারা সবাই ওঠেন। কিন্তু বাস্তবে সেই গাড়ির লোকজন ছিল অপহরণকারী!
অপহরণের পর শ্রমিকদের পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দাবি করা হয়। বন্দিদশায় তাদের মারধর করা হয়, এমনকি এক শ্রমিকের মাথা ফেটে যায় বলেও জানা গেছে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, অভিযোগ উঠেছে যে চারজন শ্রমিকের পরিবার মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর পরপরই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে পরিবারের সদস্যরা আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
উদ্ধার হয়েছে কয়েকজন
শ্রমিকদের পরিবার বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেনি। উদ্বেগ বাড়তে থাকায় শেষমেশ শুক্রবার নবগ্রাম থানার দ্বারস্থ হয় তারা। বিষয়টি জানার পর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ তামিলনাড়ু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
তদন্ত শুরু করার পর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই দ্রুত অপহরণকারীদের ডেরায় হানা দেয় তামিলনাড়ু পুলিশ। শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার। তবে এই অপহরণের সঙ্গে ঠিক কতজন জড়িত এবং কতজন গ্রেফতার হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ার জাদু! ফেসবুক রিলসের মাধ্যমে দীর্ঘ ছয় বছর পর খোঁজ মিলল এক নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি মালদার মানিকচকের। জানা গেছে, সুলতান খান নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র তিন মাস পরই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় করোনা অতিমারি, আর দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউনের সময় অন্যান্য শ্রমিকরা কোনোভাবে বাড়ি ফিরলেও সুলতান আর ফেরেননি।
কোনো খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজনও প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক রিলস ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ট্রেনে বসে আছেন। ভিডিওটি নজরে আসতেই পরিবারের সন্দেহ হয়—এটাই কি সুলতান? এরপরই নতুন করে শুরু হয় তাকে খোঁজার চেষ্টা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।