Health Tips: শীতকালে অনেকেরই শারীরিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যেমুন সর্দি, হাঁচি-কাশি, জ্বর, এবং গলা ব্যথা, নাখ-চোখে জলা পড়া। এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে আমাদের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। আর এর জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩টা আমন্ড খাওয়া খুবই উপকারী। আমন্ডে উপস্থিত ভিটামিন E ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ শরীরকে শক্তিশালী করে। আমন্ড আপনার ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম রাখবে শরীর। ফলে দৈহিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে সঠিক ভাবে।
শীতকালে নিয়মিত মধু খাওয়া ইমিউনিটি বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। এটি শরীরকে গরম রাখে এবং ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলোর যেমন সর্দি, হাঁচি-কাশি থেকে রক্ষা করে (Health Tips)। তবে মধু খেতে গেলে মনে রাখতে হবে অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া, এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মধু খাওয়ানো একদম নিরাপদ নয়, তাই তাদের মধু দেয়া এড়িয়ে চলুন।
লেবু শীতকালে আপনার দিতে পারে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। আপনি ভাতের সাথে লেবু খেতে পারেট। অথবা চায়ে মিশিয়ে নেয়া খেতে পারেন লেবুর রস। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো হাল্কা গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খাওয়া। এটি আপনার ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং সঙ্গে সঙ্গে মেদ ঝরাতেও সাহায্য করবে। লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ শরীরকে পরিষ্কার রাখবে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
আদা সত্যিই দারুণ একটা ইমিউনিটি বুস্টার! এর গুণ অনেক। প্রথমে বলতেই হবে, আদা খুব দ্রুত বদহজমের সমস্যা দূর করে। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফেঁপে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতে আদার জুড়ি নেই। আপনি যদি চাইলে হাল্কা গরম জলে আদার রস মিশিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। আদার রস মিশিয়ে খালি পেটে খেলে হজমের সমস্যা থাকবে না। শীতের দিনে গলা ব্যথা বা সর্দি-কাশি হলে আদা দিয়ে চা খাওয়ারও এক চমৎকার উপকারিতা পাবেন। এটা আপনার গলার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করবে এবং ইমিউনিটি বাড়াতেও বেশ কার্যকর। এছাড়া হলুদও আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। একে আমরা ইমিউনিটি বুস্টারের মতো ভাবতে পারি। এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। সারা বছরই কাঁচা হলুদ খাওয়া খুব ভালো, কারণ এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে।