চোর সন্দেহে স্কুলছাত্রকে মারধর: মুর্শিদাবাদের কাঞ্চনতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক চরম উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। চোর সন্দেহে এক স্কুলপড়ুয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উপপ্রধান এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা, ওই ছাত্রের আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁরা এলাকার মধ্যে বোমাবাজি এবং ইটবৃষ্টির শিকার হয়েছেন। এর ফলে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।
শমসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় শুক্রবার রাতে চোর সন্দেহে এক স্কুল পড়ুয়াকে মারধর করা হয়, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। ছেলেটি তখন ফোন করে তার আত্মীয়দের ডাকে। কিছুক্ষণ পরেই অভিযোগ ওঠে যে, ওই এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। তবে উপপ্রধান মহম্মদ সামিউল হক দাবি করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং কে বা কারা ছেলেটিকে মারধর করেছেন, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। অন্যদিকে, পড়ুয়াকে মারধর করার পর কিছু লোক ওই এলাকায় গিয়ে পথবাতি বন্ধ করে বোমাবাজি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে শমসেরগঞ্জ থানার পুলিশবাহিনী পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত স্কুলপড়ুয়ার নাম নাইম আলম, এবং তার বাড়ি শুলিতলার দক্ষিণপাড়া এলাকায়। নাইমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। উপপ্রধান সামিউল হক অবশ্য দাবি করেছেন যে, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। ধুলিয়ান থেকে সবে বাড়ি ফিরেছি। হঠাৎ শুনতে পাই ‘চোর-চোর’ আওয়াজ। তারপর মাঠের দিক থেকে দু’জনকে দৌড়ে আসতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসা করি, তাদের বাড়ি কোথায়। কিন্তু ‘চোর-চোর’ আওয়াজ শুনে গ্রামের অনেকে জড়ো হয়ে এক নাবালককে মারধর করতে শুরু করে। আমিই তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দিই।”
অন্যদিকে, ওই স্কুলপড়ুয়া দাবি করেছেন যে, সে কোনও অপরাধ করেনি। যদিও তিনি সব কিছু জানিয়ে উপপ্রধান এবং তাঁর লোকজনকে বলেছিলেন, তারা তার কথা শোনেনি এবং বেধড়ক মারধর করেছে।