Gold Recovered: আবারও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচারের চেষ্টাকে রুখে দিল বিএসএফ। নদিয়ার রানাঘাট-গেদে সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনার সূত্রপাত।
বিএসএফ সূত্রে খবর, গোয়েন্দা বিভাগের কাছে রানাঘাট ও গেদে সীমান্ত এলাকায় বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের নির্দিষ্ট খবর ছিল। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুট্টিখালি বর্ডার আউটপোস্টে বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন এবং সেখানে ১২টি সোনার বিস্কুট ও ২টি সোনার ‘ইট’ উদ্ধার করেন। তল্লাশির সময় তিন স্কুটি আরোহীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন মোট ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য ধৃতদের মাজদিয়া শুল্ক বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং উদ্ধার হওয়া সোনাও তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মাজদিয়া-গাংনা রোডে সোনা পাচারের নির্দিষ্ট খবর পাওয়ার পর বিএসএফ প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছিল। তল্লাশি চলাকালীন, স্কুটি নিয়ে দু’জনের সন্দেহজনক গতিবিধি নজর এড়ায়নি জওয়ানদের। চালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানতে পারে, গেদে থেকে এক ব্যক্তি একটি সোনার চালান নিয়ে দুই স্কুটি চালককে দিতে আসছে। তার কিছুক্ষণ পর, আরেকটি স্কুটি রাস্তার কাছে উপস্থিত হয়। ওই স্কুটিটিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হলে তিনটি কালো প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো ১২টি সোনার বিস্কুট এবং দুটি সোনার ‘ইট’ উদ্ধার হয়। এর পর তিনজনকে গ্রেফতার করে বিএসএফ।
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা জানিয়েছেন, তারা গেদে সীমান্ত এলাকার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সোনা নিয়ে রানাঘাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল, সোনা পৌঁছানোর জন্য প্রতি জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে, সোনা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছানোর আগেই রানাঘাট থানা এলাকাতেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বিএসএফের এক জনসংযোগ আধিকারিক জানান, ‘‘নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে ধরা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। জওয়ানদের তৎপরতায় পাচারের চেষ্টা আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’’