JKNEWS24 BANGLA, বাংলাদেশ,রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হঠাৎ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন রাসেল মোল্লা (২৮)। তাঁকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরিফ ইসলাম এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, হামলায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় দরবারে হামলা চালায় একদল লোক। অভিযোগ ছিল, নুরাল পাগলাকে শরিয়ত–পরিপন্থীভাবে দাফন করা হয়েছে। সেই অভিযোগের জেরে তাঁরা কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেন। উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। এমনকি পুলিশের দুটি গাড়ি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা ঝুটু মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা আজাদ মোল্লার ছেলে। তিনি নুরাল পাগলার দরবারের খাদেম ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সব খবর
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতেই বহু বছর আগে দরবার শরিফ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নুরুল হক। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই রাতেই ভক্তরা বিশেষ নিয়মে আস্তানার ভেতরে মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে তাঁর দাফন সম্পন্ন করেন। তবে এই দাফন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক শুরু হয়। স্থানীয় আলেম সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং কবর সমতল করার পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাবি জানায়।
এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি এবং নুরাল পাগলার পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু কবর নিচু না করায় ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি দেয়। তারা বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর সমতল করার আল্টিমেটাম দেয় এবং জানায়, দাবি পূরণ না হলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে এবং পরে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি পালন করবে।
অন্যদিকে, অভিযোগের জবাবে নুরাল পাগলার ছেলে মেহেদী নূর জিলানী ২ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাবার নির্দেশ অনুযায়ীই কিছুটা উঁচু করে ইসলামের বিধান মেনে দাফন করা হয়েছে। কবর তিন থেকে চার ফুট উঁচু হতে পারে। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। তবে কবর নিচু করার বিষয়ে ভক্ত ও খাদেমদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
make sure to use the normal human friendly tone


