Bank Account Freeze: একসঙ্গে ১২০০ জন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পকে ঘিরে। জানা গিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় বাসস্থান তৈরির জন্য কিস্তির টাকা পেলেও অনেকেই সেই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করেছেন, যা নিয়ে প্রশাসন আগেই একাধিকবার সতর্ক করেছিল। কিন্তু তাতেও উপকার হয়নি। শেষমেশ নিয়ম অমান্য করায় এতগুলো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
বাড়ি তৈরির টাকা ব্যবহার হয়েছে অন্য খাতে!
News18-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কুলপির রহিম মোল্লা এ বছরের শুরুতেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ঘর তৈরির জন্য কিস্তির টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা হাতে পেয়েও ঘর তৈরির কাজে হাত দেননি তিনি। প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও রহিম কর্ণপাত করেননি। শুধু তিনিই নন, জয়নগরের শাহানুর আলমও একই পথে হেঁটেছেন। সরকারি প্রকল্পে টাকা পাওয়ার পরও আট মাস ধরে শুধু প্রতিশ্রুতির খেলায় সময় কাটিয়েছেন, কিন্তু ঘর তৈরির কাজ শুরু করেননি। অভিযোগ উঠেছে, নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে পাওয়া সেই সরকারি অর্থ অন্য খাতে খরচ হয়েছে। প্রশ্ন করা হলে রহিম নিজেই জানিয়েছেন, ঘর তৈরির জন্য পাওয়া কিস্তির টাকা তিনি চিকিৎসার খরচে ব্যয় করেছেন।
রিপোর্টে উঠে এসেছে, রহিম বা শাহানুরের মতো আরও বহু উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কিস্তির টাকা পেয়েও মাসের পর মাস শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছেন। ব্লক অফিসার থেকে শুরু করে স্থানীয় পুলিশ কর্মীরা বাড়ি গিয়ে দেখেছেন, সরকারি টাকা পকেটে নিয়ে তারা নিশ্চিন্তে দিন কাটাচ্ছেন, অথচ ঘর তৈরির জন্য একটি ইটও বসানো হয়নি। ফলে, নিয়ম ভঙ্গ ও অপব্যবহার ঠেকাতে একসঙ্গে প্রায় ১২০০ জন উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বাড়ি তৈরি না করলে সরকারি অর্থ ফেরত দিতে হবে। সেই অর্থ অন্য কোনও ক্ষেত্রে খরচ করা চলবে না। এদিকে প্রশাসনের কড়াকড়িতে কার্যত মাথায় বাজ পড়েছে বাংলার বহু উপভোক্তার। অনেকেই বলছেন, সরকারি অর্থের বেশিরভাগ টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছে। এখন এত টাকা কীভাবে ফেরত দেব! কারও বক্তব্য, বাবার চিকিৎসায় সব টাকা চলে গিয়েছে, এখন ওই অর্থ ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
সব খবর


