Makeup Mistakes: মেকআপ করলেই হয় না, ত্বক ভালো রাখতে কোন অভ্যাসগুলো বর্জন করবেন?মেকআপের সঠিক নিয়মকানুন জানলেই হবে না, ত্বক কী ভাবে ভাল থাকবে, সে বিষয়েও খেয়াল রাখা দরকার।
সব খবর
ত্বকের খুঁত সহজেই ঢেকে দিতে পারে একটি দক্ষ হাতের রূপটান। তবে, আপনি মেকআপে কতটা অভিজ্ঞ, তা যাই হোক, কিছু ভুল আপনার সাজগোজকে নষ্ট করার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। মেকআপের সঙ্গে ত্বকের স্বাস্থ্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেকেই এ বিষয়টি গুরুত্ব দেন না।
কোন অভ্যাসগুলো বর্জন করবেন
মেকআপ করার নিয়ম
মেকআপ করতে গিয়ে আমরা মাঝেমধ্যেই নানা ভুল করে বসি, আর এর মধ্যে সবচেয়ে বিশ্রী ভুল হল বেস মেকআপে গোলমাল করা। ফাউন্ডেশন ঠিকভাবে ব্লেন্ড করা এবং সেট করা সত্যিই একটি শিল্প। এই শিল্পকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে দাগহীন ও মখমলের মতো ত্বক পেতে সময় এবং ধৈর্য দুটোই প্রয়োজন।
সব খবর
মেকআপ লাগানোর জন্য সঠিক সরঞ্জামগুলি হাতের কাছে থাকা জরুরি। সেই সঙ্গে, ত্বকের জন্য উপযোগী মেকআপ প্রডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন, ঝলমলে সুন্দর ত্বকের কোনও শর্টকাট হয় না! সুতরাং, সময় নিন এবং আপনার মেকআপকে নিখুঁত করার জন্য প্রয়োজনীয় যত্ন নিন।
সুস্থ ও আর্দ্র ত্বক পাওয়ার সঠিক উপায় হল নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা, টোনিং করা, এবং সবশেষে ময়শ্চারাইজার মেখে নেওয়া। শুষ্ক ও আর্দ্রতাহীন ত্বকে মেকআপ ভালোভাবে বসে না; তা ছোপছোপ ও অসমান হয়ে থাকে। তাই নিখুঁত বেস পেতে হলে প্রথমে সিটিএম (ক্লেনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং) রুটিন দিয়ে শুরু করা জরুরি।
প্রথমে, ত্বক থেকে সমস্ত নোংরা আর দূষিত উপাদান সাফ করতে Simple Kind To Skin Moisturising Facial Wash এর মতো কোমল সাবানহীন ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর, Lakmé Absolute Pore Fix Toner লাগান—এটি আপনার ত্বককে আরও পরিষ্কার করবে, এবং রোমকূপও সংকুচিত ও টানটান রাখবে।
শেষে, ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে মাখুন Pond’s Light Moisturiser Non-Oily Fresh Feel With Vitamin E + Glycerine। নিয়মিত এই রুটিন মেনে চললে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে নরম ও টানটান। নিখুঁত মেকআপ করার জন্য এমন ক্যানভাসই তো চাই! তাহলে, কেন অপেক্ষা? আজ থেকেই শুরু করুন!
তুলি এবং ব্লেন্ডারও খুব গুরুত্ব
মেকআপ করার নিয়ম, কর্মক্ষেত্রে হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে বেরোনোর সময়, একটি হালকা মেকআপ ত্বকের খুঁতগুলো সুন্দরভাবে ঢেকে দিতে পারে। তবে, মেকআপের জন্য শুধু প্রসাধনীর প্রয়োজন নয়, তুলি এবং ব্লেন্ডারও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্লাশ বা আইশ্যাডো, প্রতিটি জিনিস ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের তুলির প্রয়োজন পড়ে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি সেই তুলি বা ব্লেন্ডার পরিষ্কার করেন? অনেকেই একই তুলি দিয়ে নিয়মিত মেকআপ করেন, যা ত্বকে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাই, সপ্তাহে অন্তত একবার সাবানজলে তুলিগুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিতে ভুলবেন না। বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে এই বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। স্বাস্থ্যবান ত্বকের জন্য পরিষ্কার তুলির ব্যবহার নিশ্চিত করুন।
অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়া
ফেস পাউডার, লিপস্টিক বা কাজল—অনেক সময় আমরা অন্যের মেকআপও ব্যবহার করে থাকি। কর্মক্ষেত্রে বা অনুষ্ঠানে কেউ যদি মেকআপ নিতে চান, তো তাদের না বলা হয়তো কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু এটা আমাদের ত্বকের জন্য ঠিক ভালো নয়।
বিশেষ করে, পাউডার, তুলির পাশাপাশি লিপস্টিক ও কাজল ভাগ করে নেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যদি কারও ত্বকে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তা খুব সহজেই ওই মেকআপের তুলির, ব্লেন্ডারের, কাজল পেন্সিল বা লিপস্টিকের মাধ্যমে অন্যের ত্বকে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই যতটা সম্ভব নিজের মেকআপ পণ্য ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, যাতে ত্বককে সুস্থ ও নিরাপদ রাখা যায়।
অতিরিক্ত মেকআপ আপনার সাজকে নষ্ট করে
সঠিক রূপটানে আপনি নজরকাড়া হয়ে উঠতে পারেন, তবে অতিরিক্ত মেকআপ কখনও কখনও আপনার সাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। বেশি ফাউন্ডেশন বা ব্লাশ ব্যবহারের ফলে সাজ কেমন দেখাবে, তা নির্ভর করে সঠিকভাবে প্রয়োগের ওপর। যদি আপনি মেকআপকে ঠিকভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে না নিতে পারেন, তাহলে সাজটি কৃত্রিম মনে হতে পারে। এছাড়া, ত্বকের সঙ্গে মিল রেখে ফাউন্ডেশন, ব্লাশ— এই সবকিছুর সঠিক শেড নির্বাচন করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই মনে রাখবেন, সবকিছুরই পরিমিতি বজায় রাখলে আপনার সাজ আরও সুন্দর এবং স্বাভাবিক দেখাবে!
Makeup Mistakes: ত্বকের প্রস্তুতি
মুখে ধুয়েই কি ফাউন্ডেশন মেখে নেন? আসলে, ফাউন্ডেশন লাগানোর আগে ত্বককে ভালোভাবে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। নইলে, খুঁতগুলো পুরোপুরি গায়েব হবে না। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়, তাহলে আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নজরকাড়া মেকআপ পেতে হলে ত্বকের কালচে দাগগুলো কনসিলার দিয়ে ঢাকতে হবে। ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে যদি আপনি প্রাইমার লাগান, তাহলে ত্বক আরও মসৃণ ও সুন্দর দেখাবে। মনে রাখবেন, প্রাইমার না লাগালে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর যতই পাউডার বা আইশ্যাডো লাগান, আপনার সাজে সেই কাঙ্ক্ষিত ঔজ্জ্বল্য আসবে না।
মেকআপ তোলা নিয়ম
মেকআপ তখনই সুন্দর দেখায়, যখন ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল থাকে। ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি, আর এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে ফেলা।
এছাড়া, ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং করাও ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকে র্যাশ এবং ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মনে রাখবেন, সুন্দর ত্বকের জন্য এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখতে নিয়মিত যত্ন নিন, এবং মেকআপের পরও একটু সময় বের করুন ত্বকের সুরক্ষার জন্য!
ত্বক ভালো রাখতে যেসব অভ্যাস জরুরি
কোমল ও মসৃণ ত্বক সবারই প্রিয়। তাই ত্বকের যত্নে প্রতিদিন অনেকেই নানা রকম চেষ্টা করে থাকেন। তবে শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলেই হবে না, দরকার কিছু নিয়মিত অভ্যাস যা ভেতর থেকে ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে। বিশেষ করে সকালে দিন শুরুর সময় করা কিছু ছোট ছোট চর্চাই ত্বকের সৌন্দর্য অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’-র এক প্রতিবেদনে এমন কিছু অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে, যা সহজেই দৈনন্দিন জীবনে যুক্ত করা যায়। নিয়মিত এই অভ্যাসগুলো পালন করলে ত্বক আরও স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আর্দ্রতা বজায় রাখা: প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করুন। এতে আপনার শরীর ও ত্বক ভালো থাকবে। কারণ ত্বক ভালো রাখতে শরীরে যথাযথ আর্দ্রতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।
ত্বক পরিষ্কার করা: ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সবচেয়ে জরুরি হলো সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা। এজন্য অবশ্যই ভালো মানের ক্লিনজিং ব্যবহার করা দরকার। দিনের ধুলোবালি, মেকআপ বা অতিরিক্ত তেল ত্বকের উপর জমে গেলে তা নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া খুবই জরুরি।
ময়েশ্চারাইজার: ময়েশ্চারাইজার বেছে নেওয়ার সময় প্রথমেই দেখতে হবে সেটা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই কিনা। ব্যবহারের পর যদি ত্বকে টানটান ভাব না আসে বা অতিরিক্ত তেলতেলে না লাগে, তাহলে বুঝবেন ময়েশ্চারাইজারটি ঠিক আছে। আর ময়েশ্চারাইজারে যদি সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর (SPF) থাকে, তবে তা আপনাকে শুধু ত্বক আর্দ্র রাখতেই নয়, রোদ থেকেও সুরক্ষা দেবে।
সানস্ক্রিন: বাইরে বের হওয়ার সময়, বিশেষ করে রোদে থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা একেবারেই জরুরি। সানস্ক্রিন ত্বককে ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং অকাল বার্ধক্য বা দাগ পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে। সাধারণভাবে, SPF ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন আল্ট্রাভায়োলেট-বি রশ্মির প্রায় ৯৭% ব্লক করতে পারে। আর SPF ৫০ হলে এটি প্রায় ৯৮% পর্যন্ত রক্ষা দেয়।
ব্যায়াম: প্রতিদিন সকালে শরীর চর্চা করা স্বাস্থ্যসম্মত। সকালের শরীর চর্চা রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতে সহযোগিতা করে। শরীর চর্চার ফলে শরীরের সব জায়গায় ঠিকমতো অক্সিজেন পৌঁছায়। ফলে ত্বক টানটান থাকে।
1, কোন ভিটামিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হতে পারে?
ত্বক সুস্থ রাখতে ভিটামিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন A, B, C, D এবং E-এর ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এই ভিটামিনগুলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখে। যদি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন না থাকে, তবে ত্বক দ্রুত নিস্তেজ ও রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে।
ত্বক কে উজ্জ্বল করার উপায় কি?
ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে হলে শুধু প্রসাধনী নয়, বরং সঠিক জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাসও সমানভাবে জরুরি। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে জল পান করলে শরীর যেমন ভেতর থেকে হাইড্রেট থাকে, তেমনি তার প্রভাব ত্বকেও দেখা যায়। তাজা ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি জোগায়, আর প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা ত্বককে নিস্তেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা এবং সপ্তাহে অন্তত দু’বার প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক হয়ে উঠবে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
কোন ভিটামিনের অভাবে চামড়া কুঁচকে যায়?
চামড়া কুঁচকে যাওয়ার জন্য সাধারণত ভিটামিন এ, ডি, ই, এবং সি এর অভাব দায়ী, কারণ এই ভিটামিনগুলো ত্বকের স্বাস্থ্য ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের কাঠামোর জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ ও ডি ত্বকের শুষ্কতা ও ক্ষতি রোধ করে। ভিটামিন ই ত্বকের কোষকে সুস্থ রাখে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |