ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না?, ড্রাগন ফলকে আজকাল অনেকেই ‘সুপার ফ্রুট’ বলে ডাকেন। উজ্জ্বল রং, মিষ্টি স্বাদ আর নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল এখন স্বাস্থ্যসচেতনদের ভীষণ পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। দাম একটু বেশি হলেও শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা জেনেই অনেকেই প্রতিদিনের খাবারে ড্রাগন ফল রাখতে শুরু করেছেন।
কিন্তু যে কোনো খাবারের মতো ড্রাগন ফলেরও যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। কেউ কেউ বেশি খেয়ে ফেলেন, আবার কেউ খাওয়ার পরই হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন। তাই কারা খাবেন, কারা খাবেন না এবং কতটা পরিমাণে খাওয়া উচিত—এসব জানা জরুরি।
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি দেশের একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টার অ্যান্ড বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান। তিনি ড্রাগন ফল নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন।
ড্রাগন ফল কারা খেতে পারবেন না?
কারা খাবেন
পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান জানিয়েছেন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার আর আয়রনে ভরপুর ড্রাগন ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। যাদের রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই ফল বিশেষ উপকারী, কারণ এতে থাকা আয়রন দ্রুত শরীরে কাজ করে। হজমে সমস্যা হলে ড্রাগন ফল খাওয়া যেতে পারে, কারণ এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতেও ভূমিকা রাখে।
সব খবর
কারা খাবেন না
যাদের হজমে সমস্যা আছে, তাদের জন্য খালি পেটে ড্রাগন ফল খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এতে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা অস্বস্তি হতে পারে। আবার যাদের কিডনিতে পাথরের প্রবণতা আছে, তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে, কারণ ড্রাগনে সামান্য পরিমাণ অক্সালেট থাকে, যা কখনো কখনো কিডনিতে পাথর তৈরির ঝুঁকি বাড়ায়। পুষ্টিবিদদের মতে, অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদেরও নিয়মিত ড্রাগন খাওয়া উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। না হলে পেটব্যথা, বমি বমি ভাব বা অ্যালার্জির মতো অস্বস্তিকর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কতটা খাবেন
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত ড্রাগন ফল যথেষ্ট। শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ অর্ধেক করা উচিত (৫০ থেকে ৭৫ গ্রাম)। যাদের হজমের সমস্যা আছে, তারা ড্রাগন ফল দই বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।


