WB DA Case Update: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ (Dearness Allowance) মামলাটি এখন রাজ্যের অন্যতম আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। বহু বছর ধরে কর্মীরা তাঁদের ন্যায্য ভাতা পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এই দাবিকে ঘিরে শুরু হওয়া দীর্ঘ আইনি লড়াই এখন সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছে। প্রতিটি শুনানির দিনই কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে কী হলো এবং কর্মীরা তাঁদের প্রাপ্য পাবেন কিনা, সেটাই এখন সবার কৌতূহলের বিষয়।
সর্বশেষ আপডেটে জানা গেছে, ডিএ মামলার শুনানি যদিও কয়েকবার পিছিয়েছে, তবে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও মলয় মুখোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন যে এবার আর দেরি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবহেলার কোনো জায়গা নয়। ফলে কর্মচারীদের মধ্যে এখন নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
মলয় মুখোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কর্মচারীরা ন্যায্য প্রাপ্যের জন্য লড়াই করছেন, কোনো অতিরিক্ত সুবিধার জন্য নয়। এই ভাতার টাকা তাঁদের জীবনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বর্তমান সময়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ডিএ পাওয়া আরও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই মামলার ইতিবাচক নিষ্পত্তি হবে।
ডিএ মামলাটি এখন আর শুধু একটি আইনি লড়াই নয়, বরং এটি কোটি কোটি পরিবারের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দীর্ঘ দেরির কারণে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও, তাঁদের ভরসার জায়গা এখনও আদালতই। আগামী শুনানির দিনকে ঘিরে তাই সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই আশা করছেন, এবার হয়তো সেই বহুল প্রতীক্ষিত রায় ঘোষিত হতে পারে।
সব খবর
ডিএ মামলার প্রতিটি আপডেটই সরকারি কর্মচারীদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। বহু দেরি, আন্দোলন, আর্থিক সংকট—সবকিছুর পর এবার তাঁদের আশা, আদালতের রায় ন্যায্যতার পক্ষে দাঁড়াবে। ফলে আগামী শুনানিই হয়তো নির্ধারণ করে দেবে সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার পথ।


