রহান, কলকাতা: সামনেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই ভোটের লড়াই ঘিরেই রাজনৈতিক অন্দরে উত্তেজনা তুঙ্গে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও—বিভিন্ন ইস্যুতে সাংসদদের কথার লড়াইয়ে পরিবেশ বেশ গরম। এর মাঝেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় হঠাৎই চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূমপান নিয়ে। অভিযোগ, অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের এক সাংসদ লোকসভার ভেতরেই ই-সিগারেটে টান দিচ্ছিলেন! আর এই ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)।
লোকসভার অন্দরে সুখটান! (Anurag Thakur)
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বে হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর এক গুরুতর অভিযোগ তোলেন—কারও নাম না করে তিনি বলেন, দেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সংসদের ভেতরে এক তৃণমূল সাংসদ দীর্ঘদিন ধরে ই-সিগারেটে টান দিচ্ছেন; স্পিকার ওম বিড়লাকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানাতে বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে, যদিও স্পিকার স্পষ্ট করে জানান তিনি এরকম কোনও অনুমতি দেননি।
কঠোর নির্দেশ স্পিকারের
বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের অভিযোগের পরই স্পিকার ওম বিড়লা অধিবেশনে উপস্থিত সকল সাংসদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন যে, সবাই যেন সংসদের নিয়ম-কানুন ও দীর্ঘদিনের সংসদীয় পরম্পরা মেনে চলেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ তাঁর কাছে এলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখানেই বিতর্ক থেমে থাকেনি—অনুরাগ ঠাকুর বারবার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানাতে থাকেন এবং এরপর বিজেপির আরও কয়েকজন সাংসদও একই ইস্যুতে আওয়াজ তোলেন। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে স্পিকার জানান, এই বিষয়ে যাঁদের বক্তব্য বা অভিযোগ রয়েছে, তা লিখিত আকারে জমা দিতে হবে, এবং সেই নথির ভিত্তিতেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি আইন তৈরি করে দেশে ই-সিগারেট সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। যার দরুন বর্তমানে ই-সিগারেটের উৎপাদন, বিক্রি, আমদানি-রফতানি এবং বিজ্ঞাপন করা এ দেশে বেআইনি। এমনটা কেউ করলে তার জেল এবং জরিমানা হতে পারে। সেখানে দাঁড়িয়ে সংসদে বসে এমন ই-সিগারেট খাওয়া নিয়ে তাই বিতর্ক চরম আকার ধারণ করেছে। তবে এদিন কোন সাংসদের দিকে অনুরাগ ঠাকুর ইঙ্গিত করেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।







