আশুলিয়া থানা যুবদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, তারা অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে প্যান্ডেল ভাঙচুর করেন এবং প্রায় আড়াই হাজার মানুষের ইফতারের খাবার নষ্ট করেন। অভিযুক্তরা হলেন, আশুলিয়া থানা বিএনপির সহসভাপতি পিয়ার আলী ও ইদ্রিস এবং তার লোকজন। অভিযুক্ত পিয়ার আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন মাঠে এই ঘটনাটি ঘটে। দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন যুবদল নেতা জহির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু।
অনুষ্ঠানের আয়োজক যুবদল নেতা জহির অভিযোগ করে বলেন, “আমি আড়াই হাজার মানুষের ইফতারের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই আশুলিয়া থানা বিএনপির সহসভাপতি পিয়ার আলী ও ইদ্রিস আলী তাদের বাহিনী নিয়ে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল কুপিয়ে ভেঙে ফেলে, ইফতারের সব খাবার নষ্ট করে দেয়। শুধু তাই নয়, তারা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়, একটি মোটরসাইকেল কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভূমিদস্যু পিয়ার আলীর নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে, কিন্তু অবৈধ অর্থের জোরে সে কাউকে মানুষ মনে করে না। আমি এই ঘটনার বিচার চাই এবং আগামীকাল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।
তিনি আরও বলেন, “আমি যুবদলের একজন কর্মী, শুধুমাত্র দল করার অপরাধে আমার বিরুদ্ধে ২০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আজ যে হামলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি আশুলিয়া থানা যুবদলের পক্ষ থেকে এই নিন্দনীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি রকি দেওয়ান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আমরা দোয়া মাহফিল এবং ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলাম। দুঃখজনকভাবে আমাদের এই আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা সময় মতো দাওয়াত পায়নি বলে এমন লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
রকি বলেন, “আমার সন্দেহ হচ্ছে, ওরা আদৌ বিএনপির লোক কিনা! আসলেই কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হবে।” অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত পিয়ার আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে বরং প্রতিবেদককে ধমক দিয়ে ফোন কেটে দেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |