১.১০ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা: আবার বাড়ল পুজোর অনুদান। বাড়ল আরও ২৫ হাজার টাকা। দুর্গাপুজোর জন্য উদ্যোক্তাদের এ বছর ১ লাখ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর যেখানে পুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকার ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিল, সেখান থেকে এবার সেই অঙ্কটা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় নিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— যা তার আগের ঘোষণার থেকেও ১০ হাজার টাকা বেশি! শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ বিলেও থাকছে বড় ছাড়, কারণ পুজো কমিটিগুলিকে ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ মাসুল ছাড় দিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদ এবং CESC-কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ঘোষণা হয়েছে, ৫ অক্টোবর কলকাতায় হবে জমকালো পুজো কার্নিভাল, আর প্রতিমা বিসর্জন চলবে তার আগের তিন দিন— ২, ৩ ও ৪ অক্টোবর।
এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শারদোৎসব, আর সেই উপলক্ষে পুজো কমিটিগুলি এখন পুরোদমে প্রস্তুতির মুডে। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক শীর্ষকর্তারা ছাড়াও কলকাতা পুরসভা, দমকল বিভাগ, CESC, পুলিশ, পরিবহণ ও স্বাস্থ্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে এক উজ্জ্বল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি অনুদান, বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মহিলাদের জন্য পিঙ্ক পুলিশ টিম, স্বাস্থ্য পরিষেবা— প্রতিটি দিকেই বাড়ানো হয় নজরদারি, যাতে পুজো নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে উদযাপন করা যায়। এ বছরও সেই রীতির ব্যতিক্রম হবে না— এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি পুজো মণ্ডপে নজরদারির ব্যবস্থা রাখতে হবে ড্রোন, সিসি ক্যামেরা ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে। পাশাপাশি মহিলাদের নিরাপত্তা ও প্রবীণ দর্শনার্থীদের সুবিধার কথাও যেন পুজো কমিটিগুলি বিশেষভাবে খেয়াল রাখে— এমন বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে যেন সমন্বয় থাকে। সব কন্ট্রোলরুমকে সারা ক্ষণ সক্রিয় রাখতে হবে। ভিড় এড়াতে প্রবেশ এবং বেরোনোর আলাদা পথ রাখতে হবে। পুজোমণ্ডপে পাবলিক অ্যাড্রেসাল সিস্টেম যাতে থাকে, দেখতে হবে সেটাও। বিদেশিদের যাতে কোনও ভাবে সম্মানহানি না হয়। পরিবহণ দফতরকে বলব বেশি গাড়ি চালাতে, যাতে মানুষ সময়ে সময়ে গাড়ি পান বাড়ি ফেরার জন্য। মেট্রোয় যাতে একটু বেশি ক্ষণ চলে, সে বিষয়ে আধিকারিকদের কথা বলতে বলব। লোকাল ট্রেনও যাতে পাওয়া যায় রাতে। পুজোমণ্ডপগুলিতে অ্যাম্বুল্যান্স প্রস্তুত রাখতে বলব। পদপিষ্টের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটাও দেখতে হবে। বিসর্জনের জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |