সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার সামনে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, যা মুহূর্তের মধ্যেই কাঁপিয়ে দেয় রাজধানীকে (Delhi Blast)। এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন সাধারণ নাগরিক, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা NIA-র হাতে। তবে এখানেই চমক—বুধবার হঠাৎই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হানা দেয় NIA-র একটি বিশেষ দল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দিল্লির বিস্ফোরণ মামলায় মুর্শিদাবাদের যোগ ঠিক কী? নেপথ্যে কোন যোগসূত্র বা সন্দেহভাজনের খোঁজে কি রাজ্যে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা? এখন সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
পশ্চিমবঙ্গে আসলো NIA-র দল (Delhi Blast)
দিল্লি বিস্ফোরণের (Delhi Blast) মাত্র দু’দিন পরেই তদন্তে বড় মোড় — বাংলার মুর্শিদাবাদে হানা দিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)-র একটি বিশেষ দল । বুধবার সকালে তারা নবগ্রাম থানার নিমগ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর উদ্ধার হয়েছিল, যা মুর্শিদাবাদের স্থানীয় বাসিন্দা মইনুল হাসান নামে এক ব্যক্তির বলে জানা গেছে।
অবশ্যই পড়ুন: Facebook Like Button বন্ধের ঘোষণা দিল Meta! কবে থেকে? তারিখ ঘোষণা করল Meta
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর মইনুলের নম্বরই ছিল একমাত্র সূত্র, আর সেই কারণেই তারা বাংলায় অভিযান চালায়। শুধু নবগ্রাম নয়, জেলার আরও কয়েকটি এলাকায় একযোগে তল্লাশি চালায় NIA। মইনুল ছাড়াও আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে তদন্তে। জানা গেছে, মইনুল পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক—দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাইসহ একাধিক শহরে কাজ করেছেন তিনি। তদন্তকারীরা সন্দেহ করছেন, তাঁর সঙ্গে কিছু অপরিচিত বা সন্দেহজনক ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল, যা হয়তো দিল্লি বিস্ফোরণের মূল সূত্র খুঁজে পেতে সাহায্য করতে পারে।
সব খবর
আগেও পাওয়া গেছে বাংলায় জঙ্গি সংগঠনের যোগ
জানিয়ে রাখা ভাল, মুর্শিদাবাদ আগেও জঙ্গি সংগঠনের কার্যকলাপের জন্য একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (ABT)-এর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জঙ্গিকে। সেই সময় শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, অসমসহ একাধিক রাজ্যে জুড়ে চলে অভিযান। তদন্তে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র ও সন্দেহজনক নথি, যা ওই জঙ্গি চক্রের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। ফলে দিল্লি বিস্ফোরণের পর আবারও মুর্শিদাবাদে NIA-র অভিযান নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—এই জেলার সঙ্গে কি সত্যিই কোনও গভীর যোগসূত্র রয়েছে?
তদন্তে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast) কান্ডে হরিয়ানার ফরিদাবাদের হোয়াইট কালার টেরর মডিউলের যোগসূত্র রয়েছে। এমনকি সেখানকার মূল অভিযুক্ত কাশ্মীরের এক চিকিৎসক। সবথেকে বড় ব্যাপার, দেশের বড় বড় শহরে তার হামলার পরিকল্পনা ছিল। কয়েক মাস ধরেই বিস্ফোরক মজুদ রেখেছিল সে। ইতিমধ্যেই মোট ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সন্দেহভাজন চার চিকিৎসকের হদিশও মিলেছে। বর্তমানে জোর তল্লাশি চলছে।
🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন “JKNEWS24 Bangla”। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে


