RESIDENCE CERTIFICATE CONTRO: ডগবাবুর ‘তামাশা’ এবার বিহারের রোহতস জেলায়! ক্যাট কুমার নামে এক আবেদন জমা পড়েছে যেখানে বাবার নাম ‘ক্যাট্টি বস’, মায়ের নাম ‘কাটিয়া দেবী’, আর সঙ্গে আছে বিড়ালের ছবি! ঠিকানার কোনো উল্লেখ নেই আবেদনপত্রে। এই অদ্ভুত আবাসিক সংশাপত্র আবেদন নিয়ে জেলাশাসক উদিতা সিং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নাসিরগঞ্জের রাজস্ব আধিকারিক কুশল প্যাটেল ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। প্রশাসন বলছে, বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নাসিরগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

জেলাশাসক উদিতা সিং ইটিভি ভারতকে বলেছেন, “নাসিরগঞ্জের আরটিপিএস অফিসে যে আবেদনটি জমা পড়েছে তাতে কোনো ঠিকানা নেই এবং সেখানে বিড়ালের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা মনে করছি এটা প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার একটি চেষ্টা। যারা সরকারি কাজে বাধা দিতে চান, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য নয়, প্রযুক্তির অপব্যবহারের অভিযোগেও মামলা হয়েছে।”
কোন পথে তদন্ত ?
আবাসিক সংশাপত্রের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় ৷ তার জন্য মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসে ৷ সেই ওটিপি না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন অসম্পূর্ণ থাকে ৷ এই মোবাইল নম্বরের সাহায্যেই আবেদনটি ঠিক কে করেছে তা জানার কাজ শুরু হয়েছে ৷ মোবাইল নম্বরটি কার নামে নেওয়া সেটা জানার পর আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন ৷ তিনি নিজেই এই আবেদন করেছেন নাকি অন্য কেউ তাঁর মোবাইল নম্বর কোনওভাবে ব্যবহার করেছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে ৷
আগে কুকুর পরে বিড়াল !
কিছুদিন আগে কুকুরের নামে আবাসিক শংসাপত্র তৈরির ঘটনা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছিল! শুধু চেষ্টা নয়, ওই শংসাপত্র তো জারিও হয়ে গিয়েছিল। পটনার মাসৌরিতে ‘ডগ বাবু’ নামে একটি আবাসিক শংসাপত্র জারি হয়, যেখানে বাবার নাম ছিল কুত্তা বাবু আর মায়ের নাম কুতিয়া দেবী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয় এবং দ্রুত সেই শংসাপত্র বাতিল করা হয়। কুকুরের নামে শংসাপত্র জারি হওয়ার এই ঘটনা সামনে আসতেই পটনা জেলা প্রশাসন দ্রুত একশন নিয়ে, সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
সব খবর
পাশাপাশি পটনা জেলা প্রশাসনের টুইটার হ্যান্ডেলে জানায়, “মাসৌরি এলাকায় ‘কুত্তা বাবু’ নামে আবাসিক শংসাপত্র জারি করার একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, উক্ত আবাসিক শংসাপত্রটি বাতিল করা হয়েছে । এছাড়াও, আবেদনকারী, কম্পিউটার অপারেটর এবং শংসাপত্র দেওয়া আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে ।” ডগবাবুর পর্ব মিটতে না মিটতেই এবার বিড়াল থুড়ি ক্যাট কুমারের নামে সংশাপত্র তৈরির আবেদন জমা পড়ল ৷


