কাফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যু! ‘বিষাক্ত’ কাফ সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় এবার চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ুর ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার মালিক জি রঙ্গনাথনকে। তিনি বিতর্কিত কাফ সিরাপ কোল্ডরিফ তৈরি করা শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার। চেন্নাই আদালতে তোলার পর তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। অন্যদিকে, ‘বিষাক্ত’ কাফ সিরাপ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে কিডনি সংক্রমণে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২।
এর আগেই রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল কাফ সিরাপ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে উপাদান কেনা ও ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে এবং নির্দিষ্ট গাইডলাইন জারি করেছিল। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আরও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফেও। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে যে প্রপিলিন গ্লাইকল, গ্লিসারিন এবং সার্বিটল—কাফ সিরাপে ব্যবহৃত এই তিনটি উপাদান—শুধুমাত্র অনুমোদিত উৎস থেকে কিনতে হবে।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রতিটি উপাদান পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক, এবং পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলকে পাঠাতে হবে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের এই নির্দেশনার পর কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফ থেকেও কিছু অতিরিক্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা কাফ সিরাপ তৈরির উপাদান পরীক্ষা করছে না। কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল আরও জানিয়েছে, ড্রাগ রুল ১৯৪৫ মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
যে চিকিৎসকের প্রেসক্রাইব করা ওষুধ খেয়ে শিশুমৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ, তাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে, অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রবীণ সোনির বিরুদ্ধে BNS-এর দুটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সব খবর
তামিলনাড়ুর ড্রাগ কন্ট্রোলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাঞ্চিপুরমের শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ওই সিরাপে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। রাজস্থানেও ওই কাফ সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ওষুধ নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


