এক ধাক্কায় বন্ধ কারখানা: এক ধাক্কায় পথে বসেছে 500 জন শ্রমিক। হ্যাঁ, পেটের টানে দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করতেন তারা। সকাল সন্ধ্যা নিরলস খেটে সংসার চালাতেন এই সমস্ত শ্রমিক। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন তাদের জীবনচক্রটা থেমে গেল। সূত্রের খবর, গত সোমবার খড়গপুরের এক প্রাচীন বিস্কুট কারখানায় তালা (Biscuit Factory Closed) পড়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। আর এই এক ঘোষণাতেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছেন প্রায় 400 থেকে 500 শ্রমিক।
এক ধাক্কায় রাস্তায় নামতে হয়েছে প্রায় ৫০০ জন শ্রমিককে। ভাবুন তো, যারা দিনরাত পরিশ্রম করে সংসার চালাতেন, তাঁদের জীবনের একটা বড় ভাগ গিয়েছিল সেই কারখানায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা, অক্লান্ত পরিশ্রমে নিজের পরিবারের জন্য স্বপ্ন বুনতেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন সব থেমে গেল! গত সোমবার খড়গপুরের ঐতিহ্যবাহী এক বিস্কুট কারখানায় পড়ে গেল তালা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন—কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই একরাশ খবরেই প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ শ্রমিকের চাকরি শেষ।
প্রায় কয়েক দশক ধরেই খড়্গপুরে চালু ছিল এই বিস্কুট কারখানাটি। আর একসময় গোটা জেলায় পরিচিত ছিল এই কারখানার নাম। এখানে শুধুমাত্র বিস্কুট উৎপাদন হতো না, বরং এই কোম্পানির উপর নির্ভর করে বহু পরিবারের পেটের ভাত জোগাড় হত। আর এখানে কাজ করতো বহু দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক। মজুরি কম হলেও তারা নিরলস পরিশ্রম করতো সারাদিন সারারাত। তবে হঠাৎ করেই যেন তাদের জীবন থমকে গিয়েছে। কারণ এক ঘোষণাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই বিরাট কারখানা
কেন বন্ধ হয়ে গেল কারখানা?
শ্রমিকরা জানাচ্ছে, তারা বহুবার মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিল কারখানাটির কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা বলেছিল, প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আর সরঞ্জাম কিনে আবার চালু করা হোক। শুধু তাই নয়, কাজের ব্যাপারে তারা পুরো সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সাহায্য করার কথা জানিয়েছিল।
একজন শ্রমিকের কণ্ঠে শুনতে পাওয়া গেল, “আমরা মালিকদের বারবার বলেছি, শুধু কোম্পানিটা চালিয়ে যান, আর আমাদের কাজ দিন। আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে আপনারা পাশে থাকব। কিন্তু কোনো কাজের কাজ হয়নি। এখন পেট চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।”
হঠাৎ করে কারখানার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এই শ্রমিকদের পরিবারে নেমে এসেছে এক গভীর দুঃখের ছায়া। অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্য কোথাও কাজ খুঁজতে বেরিয়েছেন, আবার অনেকেই হতাশা নিয়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাজের সন্ধানে।