Saturday, September 13, 2025
36.7 C
Kolkata

𝐉𝐊𝐍𝐄𝐖𝐒𝟐𝟒 𝐁𝐀𝐍𝐆𝐋𝐀 ➠ 𝐎𝐧𝐞 𝐬𝐭𝐨𝐩 𝐬𝐨𝐥𝐮𝐭𝐢𝐨𝐧 𝐟𝐨𝐫 𝐈𝐦𝐩𝐨𝐫𝐭𝐚𝐧𝐭 𝐁𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚 𝐍𝐞𝐰𝐬 !

Baaghi 4 Review in...

Baaghi 4 Review in Bengali: সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি **‘বাঘি’**র চতুর্থ কিস্তি আজ...

Sufal Bangla: পশ্চিমবঙ্গের কৃষক...

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুফল বাংলা প্রকল্প (Sufal Bangla Scheme) ২০১৪ সালে চালু হওয়ার পর...

আজকের আবহাওয়া আপডেট: কোথায়...

আজকের আবহাওয়া আপডেট: শিয়রে এসে গেছে দুর্গাপুজো। কিন্তু এই আনন্দের উৎসবের আগে আবহাওয়ার...

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি...

Primary Teacher Recruitment: রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের খোঁজে যারা দিন গুনছিলেন তাদের জন্য...

Join or social media

আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হোন

Become a member

Get the best offers and updates relating to Liberty Case News.

- Advertisement -

Recommended for You

- Advertisement -

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত, 1180 শূন্য পদে আবেদন করুন

Primary Teacher Recruitment: রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের খোঁজে যারা দিন গুনছিলেন তাদের জন্য এসেছে বড়সড় সুখবর! প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সংস্থার পক্ষ থেকে ২০২৫ সালের...

Most Popular

- Advertisement -
Homeপ্রকল্পসরকারি প্রকল্পFree Ration Scheme Update: সরকার কমাচ্ছে ফ্রি রেশন, নতুন লিস্টে কি থাকছে...

Free Ration Scheme Update: সরকার কমাচ্ছে ফ্রি রেশন, নতুন লিস্টে কি থাকছে দেখে নিন

Free Ration Scheme Update: দুর্মূল্যের বাজারে গরীব মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে ওঠা বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প (Free Ration Scheme) নিয়ে বড় দুশ্চিন্তার খবর সামনে এসেছে। খরচ কমাতে কেন্দ্র সরকার এবার ফ্রি রেশনের পরিমাণে কাটছাঁট করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে প্রায় ৮ কোটি ৯২ লক্ষ রেশন কার্ড গ্রাহক বঞ্চিত হতে পারেন। তবে কীভাবে ফ্রি রেশনের সামগ্রী কমানো হবে, সরকারের এতে প্রতি মাসে কত টাকা সাশ্রয় হবে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষ ও রেশন ডিলারদের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে, তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করন -

WhatsApp Group Join Now

Government Cutting off Ration Card items from Free Ration Scheme

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে (RSKY) দুই ধরনের রেশন কার্ড গ্রাহক বিভাগ রয়েছে-

  • প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড
  • অন্তোদয় অন্ন যোজনা (AAY Ration Card)

যেখানে দেশের প্রায় ৮১ কোটি নাগরিক বিনামূল্যে রেশন বা খাদ্যশস্য (Free ration Items) পান। কোভিড মহামারীর পর থেকে এই রেশন যোজনার নাম পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PMGKAY) করা হয়েছে, যাতে চাল এবং গম বিনামূল্যে বিতরণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই নতুন উদ্যোগ নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে জল্পনা চলছে যে নরেন্দ্র মোদী সরকার অতি গরিবদের মুখ থেকে খাদ্য কেড়ে নিতে চাইছে।

সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করন -

WhatsApp Group Join Now

খরচ কমাতে রেশনে কোপ

কেন্দ্রীয় সরকারের এক গোপনীয় নথিতে এমন একটি পরিকল্পনার ইঙ্গিত মিলেছে, যা দেশের অতি দরিদ্র পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে অন্তোদয় অন্ন যোজনা (AAY Ration Card) এর আওতায় প্রতিটি পরিবারকে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয়, কিন্তু এবার সেই নিয়মে বদল আনার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরিবার নয় বরং প্রতি কার্ড হিসেবে রেশন দেওয়া হতে পারে। এতে সরকারের খরচ অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, আর প্রতি মাসে প্রায় ১,১৩২ কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে।

বর্তমান ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আসতে পারে?

বর্তমানে প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড গ্রাহকেরা প্রতিটি রেশন কার্ডে মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পান, যা তাদের নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। অপরদিকে, অন্তোদয় অন্ন যোজনার (AAY) অধীনে এখনো পরিবারপ্রতি ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয়, যা অতি দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য বড় ভরসা। তবে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের এক গোপন নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, এই নিয়ম বদলে অন্তোদয় গ্রাহকদেরও ব্যক্তিপ্রতি খাদ্যশস্য দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। সরকারের যুক্তি, এতে খরচ অনেকটা কমবে এবং যেখানে পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম, সেখানে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার প্রবণতাও রোধ করা যাবে।

বিনামূল্যে রেশনের পরিমাণ কিভাবে কমছে?

এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে বড় পরিবর্তন আসতে পারে অন্তোদয় রেশন কার্ড গ্রাহকদের জীবনে। আগে যেখানে পরিবারে যতজনই থাকুক না কেন, ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য মিলত, এবার নিয়ম বদলালে প্রত্যেক কার্ডে ব্যক্তিপ্রতি ৫ কেজি করে দেওয়া হবে। ফলে, চার সদস্যের পরিবার পাবে ২০ কেজি রেশন, যেখানে আগে ৩৫ কেজি মিলত। খুব কম পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৭ জনের বেশি হওয়ায়, বেশিরভাগ AAY গ্রাহকই আগের তুলনায় কম রেশন হাতে পাবেন। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় ২ কোটি ৩৭ লক্ষ অন্তোদয় পরিবার আছে, যাদের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ কোটি ৯২ লক্ষ। তবে এই পরিবর্তন কার্যকর করতে হলে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে সংশোধন প্রয়োজন, আর সেই প্রস্তাব সংসদে তোলার প্রস্তুতি চলছে।

খরচ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারের পরিকল্পনা

খাদ্য মন্ত্রকের নথি অনুযায়ী, অন্তোদয় পরিবারগুলিতে গড়ে সাতজন সদস্য ধরে খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হলেও বাস্তবে এত বড় পরিবার খুবই কম। দেশে মাত্র ৮ লক্ষ ২১ হাজার ১৪৯টি পরিবারে সাতজন সদস্য রয়েছে, অথচ এক থেকে চার সদস্যের পরিবারই বেশি। এর ফলে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য বিতরণ হয়ে সরকারের ভাণ্ডার থেকে অপচয় ঘটছে। হিসাব বলছে, গড়ে প্রতিটি অন্তোদয় ব্যক্তি প্রায় ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম খাদ্যশস্য পাচ্ছেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। এর কারণে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১২১ টন চাল-গম বিতরণ করতে হচ্ছে, ফলে সরকারের খরচও বেড়ে যাচ্ছে। তাই নতুন প্রস্তাবে ভাবা হচ্ছে ব্যক্তিপ্রতি সাড়ে ৭ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া, যাতে অতি দরিদ্রদের খাদ্য সুরক্ষা বজায় থাকে আবার অযথা অপচয়ও রোধ করা যায়।

সাধারণ মানুষ ও রেশন দোকানদারদের প্রতিক্রিয়া

খাদ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রেশন দোকানদারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এই পরিকল্পনা নিয়ে, যাতে তাদের মতামত নেওয়া হয়। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু এই উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই পরিকল্পনা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন, বলেছেন এটি জনবিরোধী এবং গরিববিরোধী। রেশন দোকানদাররা মনে করেন যে এই পরিবর্তন অতি দরিদ্র পরিবারগুলির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যাদের জন্য ৩৫ কিলোগ্রামের ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। বিরোধী দলগুলি এই উদ্যোগকে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা সংসদে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। এই জল্পনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছে, যা খাদ্য সুরক্ষা যোজনার ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

অন্তোদয় যোজনার পরিসংখ্যান এবং প্রভাব

দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৭১ লক্ষ অন্তোদয় পরিবার রয়েছে, যাদের সদস্য সংখ্যা পাঁচের কম। এর ফলে পরিবারপ্রতি ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার নিয়মে প্রচুর অতিরিক্ত শস্য বিতরণ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, পাঁচ সদস্যের বেশি পরিবার মাত্র ২৫ লক্ষ ৮২ হাজার, যা তুলনায় খুবই কম। তাই সরকার মনে করছে, পরিবারপ্রতি নয় বরং ব্যক্তিপ্রতি খাদ্যশস্য দেওয়া হলে খরচ নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং অপচয়ও কমবে। তবে এই পরিবর্তন অতি দরিদ্রদের খাদ্য সুরক্ষায় (Free Ration Scheme) কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। অনেকের মতে, গণবণ্টন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন দেশের খাদ্য নীতিকে নতুন পথে নিয়ে যাবে, যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, এটি আসলে মোদী সরকারের গরিববিরোধী নীতির প্রমাণ, যা অতি দরিদ্র পরিবারের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ

বর্তমানে AAY রেশন কার্ড গ্রাহকেরা প্রতি পরিবারে ৩৫ কেজি করে সামগ্রী পান, তবে এবার থেকে জনপ্রতি খাদ্যশস্য পাবেন, যা তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু পরিবারের মোট রেশনের পরিমাণ কমতে পারে। সরকারের লক্ষ্য খরচ কমানো, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে রেশন দোকানদার এবং বিরোধীদের প্রতিবাদ এই উদ্যোগকে থামাতে পারে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন সংশোধনের জন্য সংসদীয় অনুমোদন দরকার, যা রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি করবে। অতি গরিবদের খাদ্য যোজনায় এমন পরিবর্তন দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই জল্পনা নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন, যা সরকারের নীতির দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin JKNEWS24 Jobs
রাশিফলের জন্যJoin NEWS24
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
- Advertisement -

আরও পড়ুন

আরও পড়ুন