দীপাবলি ও ধনতেরস এলেই ঘরে ঘরে সোনা কেনার হিড়িক পড়ে যায়, কারণ এই সময় সোনা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন জুয়েলারি সংস্থা নানা ছাড় ও স্কিম নিয়ে আসে, ফলে অনেকেই এই সময়েই নতুন গয়না কেনার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কেনার আগে সোনার ক্যারেট সম্পর্কে জানা খুব জরুরি (Gold Buying Tips)। সাধারণত ২৪ ক্যারেট সোনা বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে ভালো, কারণ এটি সবচেয়ে বিশুদ্ধ। আর ২২ ক্যারেট বা ১৮ ক্যারেট সোনা গয়না তৈরির জন্য আদর্শ, কারণ এগুলো তুলনামূলকভাবে শক্ত ও টেকসই হয়।
সোনার বিশুদ্ধতা ও ক্যারেটের গুরুত্ব: সোনার বিশুদ্ধতা বোঝার জন্য সাধারণত ক্যারেট ব্যবহৃত হয়। খাঁটি সোনা বা ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ, এতে অন্য কোনো ধাতু মেশানো থাকে না। তবে এত খাঁটি সোনা খুব নরম হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই গয়না তৈরির সময় এতে তামা, রূপা বা দস্তা মত ধাতু মেশানো হয়, যাতে সোনার গয়নাটি শক্ত ও টেকসই হয় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
২৪ ক্যারেট সোনা: ২৪ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে বিশুদ্ধ, তবে এটি অতিরিক্ত নরম হওয়ায় গয়না তৈরিতে ব্যবহার করা হয় না। এটি মূলত সোনার কয়েন, বিস্কুট বা বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
২২ ক্যারেট সোনা: ২২ ক্যারেট সোনা গয়নার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং টেকসই হিসেবে বিবেচিত হয়। এতে প্রায় ৯১.৬% খাঁটি সোনা থাকে, বাকি অংশে অন্যান্য ধাতু মিশানো থাকে। হার, বালা, কানের দুল এবং মঙ্গলসূত্রের মতো ঐতিহ্যবাহী গয়নার জন্য ২২ ক্যারেট সোনা সবচেয়ে উপযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প হিসেবে প্রিয়।
সব খবর
১৮ ক্যারেট সোনা: ১৮ ক্যারেট সোনায় প্রায় ৭৫% খাঁটি সোনা থাকে, আর বাকি ২৫% অংশে অন্যান্য ধাতু মেশানো হয়। এটি তুলনামূলকভাবে শক্ত ও টেকসই হওয়ায় হীরকখচিত বা পাথরযুক্ত ডিজাইনার গয়না তৈরিতে ১৮ ক্যারেট সোনা বেশি ব্যবহার করা হয়।
১৪ ক্যারেট সোনা: ১৪ ক্যারেট সোনা শক্ত এবং টেকসই হলেও এতে খাঁটি সোনার পরিমাণ মাত্র ৫৮.৫% থাকে। এর কারণে এটি দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আদর্শ, যেমন আংটি, কানের দুল বা ছোট গয়নাগুলোতে এই সোনা বেশি ব্যবহৃত হয়।
সোনা কেনার সময় এই বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখুন:সোনা কেনার সময় সবসময় BIS হলমার্ক পরীক্ষা করুন। এটি সরকারি মানচিহ্ন, যা সোনার বিশুদ্ধতা, ক্যারেট, ও জুয়েলারের কোডের প্রমাণ দেয়। হলমার্ক থাকা মানে আপনি নকল বা নিম্ন ক্যারেটের সোনা কেনা থেকে সুরক্ষিত থাকছেন।


