চাকরির বর্তমান অবস্থা দেখে অনেকেই এখন কাজের আশা ছেড়ে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। তবে, সমস্যা হলো বাজারে প্রচুর ব্যবসার অপশন রয়েছে, কোনটা থেকে ভালো লাভ হবে সেটা বুঝতে অনেকেরই কষ্ট হয়। কিন্তু চিন্তা করবেন না! আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এক দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া, যার মাধ্যমে আপনি বাড়ি থেকেই প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন, তাও খুব সহজেই!
গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ে আছেন যারা প্রথাগত চাষবাসের কাজ না করে, চাকরির আশায় পড়াশোনা করছেন। তবে, সমস্যা হচ্ছে পড়াশোনা শেষ হলেও ভালো কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, যদি তারা নতুন কিছু শুরু করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাহলে গোল্ড ফিশের চাষ তাদের জন্য এক দারুণ বিকল্প হতে পারে। হ্যাঁ, শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও, এই ব্যবসায় বেশ ভালো লাভ করা সম্ভব। আপনি কিভাবে শুরু করতে পারেন, কতো খরচ হবে এবং কত টাকা আয় হতে পারে? সব কিছু জানতে আজকের প্রতিবেদনটি পুরোপুরি পড়ুন!
কীভাবে শুরু করবেন গোল্ড ফিশ চাষের ব্যবসা?
আপনি যদি গোল্ড ফিশ চাষের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে প্রথমেই ২৫০ বর্গফুটের মতো একটি জায়গার প্রয়োজন হবে, যেখানে আপনি মাছগুলিকে রাখবেন। এছাড়াও আরও কিছু জায়গা দরকার হবে, কারণ মাছগুলির বয়স বাড়ানোর সময় তাদের আলাদা জায়গায় রাখাটা প্রয়োজনীয়। এছাড়াও, জলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন যোগাতে একটি অক্সিজেন মেশিন লাগবে, তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য হিটার এবং মাছের খাবার তো লাগবেই। মাছের জল পরিষ্কার রাখতে কেমিক্যাল ফিল্টার, এবং রোগ প্রতিরোধে কিছু ওষুধও প্রয়োজন হবে।

Brinjal Health Effects: এই শীতে বিভিন্ন পদে বেগুন খাচ্ছেন?
সব খবর
কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
প্রথমবার গোল্ড ফিশের চাষ শুরু করতে হলে বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যদি বাড়িতে জায়গা থাকে, তবে সেটা হবে সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে ঘর ভাড়ার টাকা বাঁচানো যাবে। চাইলে বাড়ির ছাদেও বড় চৌবাচ্চা তৈরি করে শুরু করা সম্ভব, তবে সেই ক্ষেত্রে ছাউনির ব্যবস্থা করাও জরুরি। একটি ট্যাঙ্ক তৈরি করে তাতে ফিল্টার, অক্সিজেন পাম্প লাগানো, মাছের বাচ্চা কেনা, তাদের খাবার ও ওষুধ—এই সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ৫০,০০০ টাকার মতো বিনিয়োগ করতে হবে।
কত টাকা আয় করা সম্ভব?
গোল্ড ফিশ চাষের ক্ষেত্রে আয়ের কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই, কারণ মাছের প্রজাতি অনুযায়ী বিক্রির দাম ভিন্ন হয়। সবচেয়ে সাধারণ গোল্ড ফিশগুলো ১০ টাকার মতো পিস হিসাবে বিক্রি হয়, তবে দামি মাছগুলো ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকাও হতে পারে। বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম সাজানোর জন্য এই ধরনের মাছের চাহিদা অনেক বেশি, এবং অনেকেই দামি মাছ কিনে সেটাকে অ্যাকোরিয়ামে রাখতে পছন্দ করেন। যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট এমআরপি নেই, তাই আপনি নিজের পছন্দমতো দামে মাছ বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া অ্যাকোরিয়াম সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ফিল্টার, মাছের খাবার ইত্যাদিও বিক্রি করতে পারেন। সব মিলিয়ে, প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।


