অপারেশন সিঁদুর: প্রীতি জিন্টা আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি শুধু বলিউডের তারকা নন, একজন সংবেদনশীল মানুষও। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর‘ দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্টভাবে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন প্রীতি এবং এই বিষয়ে বলিউডের অনেকের নীরবতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার তিনি এক বড় মাপের মানবিক উদ্যোগ নিলেন। প্রীতি জিন্টা তাঁর আইপিএল টিম পঞ্জাব কিংস-এর CSR উদ্যোগের মাধ্যমে আর্মি উইমেন্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে ১.১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সেনা পরিবারের মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।
IPL শুধু ক্রিকেটের আসর নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু মানবিক কাহিনি। তেমনই এক আবেগঘন মুহূর্তে সামনে এল প্রীতি জিন্টার এক উজ্জ্বল পদক্ষেপ। পঞ্জাব কিংসের সিএসআর কার্যকলাপের অংশ হিসেবে প্রীতি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া সাহসী সৈনিকদের পরিবার—বিশেষ করে তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে অনুদানও প্রদান করলেন।
শনিবার জয়পুরে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাউথ ওয়েস্টার্ন কমান্ডের সেনা কমান্ডার, এডব্লিউডব্লিউএ-র আঞ্চলিক সভাপতি ‘সপ্ত শক্তি’ এবং একাধিক সেনা পরিবার। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রীতি বলেন, “আমাদের সেনাদের সাহসী পরিবারকে সমর্থন করাটা যেমন সম্মানের, তেমনি এক বড় দায়িত্বও। আমরা হয়তো তাঁদের আত্মত্যাগের ঋণ কখনও শোধ করতে পারব না, কিন্তু তাঁদের পাশে দাঁড়াতে, তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে একটু সহায়তা করতে পারি। আমাদের সেনাদের নিয়ে আমরা গর্বিত এবং দেশ ও তার সাহসী সৈন্যদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন চিরকাল অবিচল থাকবে।”
সব খবর
প্রসঙ্গত, এর আগে X হ্যান্ডেলে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল প্রীতি জিন্টাকে। সেই AMA সেশনে কথা বলার সময় অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে তাঁর সহকর্মীদের নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একজন জিগ্গেস করেন, ‘আপনার একাধিক সহকর্মীরা পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় কথা বললেও অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে অনেকেই চুপ রয়েছেন। আপনি ভারতের পক্ষে কথা বললেও অনেক বলি তারকা রয়েছেন যারা একেবারে নিশ্চুপ। এই প্রসঙ্গে আপনার মতামত কি?’
তখন কারোর নাম না করেই এবিষয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। প্রীতি তখন বলেছিলেন, ‘আমি সবার কথা বলতে পারি না কারণ বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া জানান। তবে একজন ফৌজি ঘরের সন্তান হওয়ার সুবাদে এই ব্যাপারগুলি আমার খুব হৃদয়ের কাছের। একজন সেনার ঘাম, রক্ত, চোখের জল সবকিছুই খুব কাছ থেকে দেখেছি আমি। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় সেনাদের থেকে আরও বেশি শক্তিশালী পরিবারের সদস্যরা।’



