Voter ID Online Apply 2025: মাত্র ১৫ দিনে হাতে পাবেন নতুন ভোটার কার্ড

Voter ID Online Apply 2025: বর্তমান সময়ে ভারত দ্রুত ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে এগোচ্ছে, আর তার ফলেই এখন বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই তৈরি করা যায় প্রয়োজনীয় নথি। ভোটার আইডি কার্ড বা EPIC ভারতের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিচয়পত্র, যা শুধু ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বরং পরিচয় প্রমাণ, ঠিকানার প্রমাণ এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবায় সমানভাবে প্রয়োজন হয়। আগে এই কার্ড তৈরি বা সংশোধন করতে প্রচুর সময় লেগে যেত, কিন্তু এখন আর সেই ঝামেলা নেই। এখন ঘরে বসেই বিনামূল্যে অনলাইনে কয়েক মিনিটে করা যায় ভোটার কার্ডের আবেদন বা সংশোধন।

এখন আর ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে না, কারণ মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ঘরে বসে হাতে পেয়ে যাবেন নতুন ভোটার আইডি কার্ড। যদি আপনার পুরনো ভোটার কার্ড থাকে তবে সেটি সহজেই আপডেট করা যাবে, আবার যাদের ভোটার কার্ডে নাম, ঠিকানা বা অন্যান্য কোনো ভুল রয়েছে তারাও বাড়িতে বসেই অনলাইনে তা সংশোধন করতে পারবেন। শুধু মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে আবেদন করলেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে, আর ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার হাতে পৌঁছে যাবে সংশোধিত বা নতুন ভোটার কার্ড। সম্প্রতি Election Commission of India (ECI) নতুন Standard Operating Procedure (SOP) চালু করেছে, যার ফলে অনলাইনে আবেদন করলেই এত দ্রুত ভোটার কার্ড সরাসরি ঘরে বসেই পাওয়া যাবে। তাই আপনি নতুন ভোটার কার্ড বানাতে চান বা পুরনো কার্ডে পরিবর্তন করতে চান, চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক অনলাইনের মাধ্যমে কীভাবে সহজেই আবেদন করা যায়।

নতুন নিয়মে দ্রুত ভোটার আইডি ডেলিভারি

চিফ ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু ও ড. বিবেক জোশীর নেতৃত্বে নেওয়া এই সিদ্ধান্তে এখন ভোটার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুত হয়েছে। ভোটার কার্ড তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি সরাসরি Department of Posts (DoP)-এর মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে, তাই আর কোথাও গিয়ে ঝামেলা করতে হবে না। আবেদনকারীরা পাবেন SMS অ্যালার্ট ও রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং সুবিধা, যার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই দেখতে পারবেন আপনার ভোটার কার্ড কোথায় রয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকেই নাগরিকরা অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন, আর আবেদন করার প্রক্রিয়াটিও এখন একেবারেই সহজ ও ঝামেলাহীন।

অনলাইনে ভোটার আইডি আবেদন করার ধাপ

অনলাইনে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে  NVSP Portal (voters.eci.gov.in) এ।

Step-by-Step আবেদন প্রক্রিয়া:

1. সবার প্রথমে উপরের দেওয়া ওয়েবসাইটে গিয়ে মোবাইল নম্বর ও ইমেল আইডি দিয়ে সাইন-আপ করুন।
2. একটি ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। আগে থেকে যদি ইউজার নেম বা পাসওয়ার্ড বানানো থাকে তাহলে আর নতুন করে বানাতে হবে না।
3. রেজিস্টার্ড মোবাইলে আসা OTP দিয়ে লগইন করুন। রেজিস্ট্রেশন করার সময় যে মোবাইল নাম্বার দেবেন সেই মোবাইল নাম্বারে ওটিপি আসবে।
4. এরপর লগইন করে “Fill Form 6” অপশন নির্বাচন করুন।
5. নাম, জন্মতারিখ, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা ইত্যাদি ব্যক্তিগত তথ্য দিন।
6. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে বা ফটো তুলে আপলোড করুন।
7. সমস্ত তথ্য যাচাই করে সাবমিট করুন।
8. সাবমিটের পর একটি রেফারেন্স নম্বর পাওয়া যাবে, যেটি স্ট্যাটাস ট্র্যাক করতে কাজে লাগবে।

 ভোটার আইডির জন্য প্রয়োজনীয় নথি

 ভোটার কার্ড আবেদন স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম

অনলাইনে আবেদন করার পর খুব সহজেই আপনি নিজের ভোটার কার্ডের স্ট্যাটাস চেক করে নিতে পারবেন। যদি সংশোধনের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলেও একইভাবে স্ট্যাটাস দেখা যাবে। এজন্য প্রথমেই ভিজিট করতে হবে NVSP Portal। এরপর আবেদন করার সময় যেই ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেছিলেন, সেটি দিয়ে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর “Track Application Status” অপশনে ক্লিক করুন। তারপর আপনার রেফারেন্স নম্বর এবং রাজ্য নির্বাচন করে সাবমিট করলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিনে আপনার আবেদনটির বর্তমান স্ট্যাটাস দেখতে পাবেন।

নতুন ব্যবস্থার সুবিধা

ডিজিটাল পদ্ধতিতে নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ায় নাগরিকরা এখন একাধিক সুবিধা পাচ্ছেন। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাবেন ভোটার কার্ড, তাই আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না। ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে আবেদন করা যাবে, ফলে আর অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা নেই। এর পাশাপাশি রয়েছে রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং ও SMS অ্যালার্ট সুবিধা, যার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই সহজে চেক করা যাবে কার্ডের অবস্থান।

পুরনো বনাম নতুন প্রক্রিয়া

ভারতের গণতন্ত্রে ভোটার আইডি কার্ড একটি অপরিহার্য নথি। ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি নাগরিক যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের ভোটার কার্ড বানানো বাধ্যতামূলক। আগে যেখানে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হত, এখন নতুন SOP-এর ফলে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া সম্ভব। এই উদ্যোগ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং নাগরিকদের জন্য অনেকটাই স্বস্তির খবর।