Indian Air Force News: ভারতের বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান চালু করেছে। এগুলো ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন কোম্পানি তৈরি করেছে এবং পরে ভারতের আকাশে উড়তে নিয়ে আসা হয়েছে। এবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামনে এসেছে একটি বড় প্রস্তাব, যা ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা আরও ১১৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। বিশেষ বিষয় হলো, নতুন এই বিমানগুলো হয়তো ভারতের ভেতরেই ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে মিলিয়ে তৈরি হবে।
এই মেগা ডিলের খরচ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার বেশি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ তৈরি হবে দেশে থাকা প্রযুক্তিতে। প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বাধীন ডিফেন্স প্রোকিওরমেন্ট বোর্ড শীঘ্রই এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করবে। সেখানে ছাড়পত্র মিললে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে। যদি প্রস্তাবটি গ্রহণ হয়, তবে ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে টাটা, কারণ ইতিমধ্যেই হায়দরাবাদে রাফালের খোল তৈরি নিয়ে টাটার সঙ্গে দাসোর চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।
নতুন এই ১১৪টি রাফাল ভারতের হাতে এলে বায়ুসেনার কাছে থাকা রাফালের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৭৬। ইতিমধ্যেই ৩৬টি রাফাল বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, আর ২৬টি রাফাল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ এই পদক্ষেপ কেন? প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় রাফালের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ এবং এটি চিনা PL-15 ক্ষেপণাস্ত্রকে হারিয়ে দিয়েছিল। নতুন বিমানগুলোতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত স্কাল্প মিসাইলের চেয়েও দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থাকার আশা করা হচ্ছে।
সব খবর
এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রও লাভবান হবে। দাসো অ্যাভিয়েশন হায়দরাবাদে রাফালের M-88 ইঞ্জিনের জন্য একটি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের হাব তৈরি করবে, আর টাটার মতো ভারতীয় সংস্থাও উৎপাদনে বড় ভূমিকা নিতে পারে।
সুখোই-৩০ এমকেই ও ১৮০টি অর্ডারকৃত লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজস মার্ক ১এ-র পাশাপাশি এই নতুন রাফালগুলো বায়ুসেনার শক্তিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। ২০৩৫ সালের পর পঞ্চম প্রজন্মের বিমান অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।


