কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বৈষ্ণবঘাটা পাটুলির যুবক বিতান অধিকারী (Bitan Adhikary)। তিনি কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকতেন, সঙ্গেই ছিলেন তাঁর স্ত্রী সোহিনী রায় ও সন্তান। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল—স্বপ্নের মতো এক বিদেশ-জীবন। কিন্তু এক মর্মান্তিক ঘটনায় বদলে গেল সব। স্বামীকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছিলেন সোহিনী, আর সেই মুহূর্তে তাঁর পাশে দাঁড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA)-এর আওতায় সোহিনী রায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা শংসাপত্র অনুযায়ী, সোহিনী রায়ের জন্ম ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায়। তিনি ১৯৯৭ সালে ভারতে আসেন। এই তথ্য সামনে আসার পর নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন সোহিনী।
এরই মাঝে বিতান অধিকারীর দাদা বিভু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, “পরিচয় গোপন করে সোহিনী আমার ভাই বিতানকে বিয়ে করেছিলেন। তখন জানা যায়, সোহিনীর দুটো আলাদা জন্ম শংসাপত্র রয়েছে। তিনি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। পরে তিনি ভারতে ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড তৈরি করান, কিন্তু পরে দেখা যায় সেগুলো ভুয়ো ছিল।”
বিভু আরও জানান, “সোহিনী আগে বিতানের সঙ্গে আমেরিকায় থাকতেন। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতে রয়েছেন। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাসে সোহিনীর ভারতীয় পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।” যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ করেছিলেন, সেই সোহিনী অবশেষে নাগরিকত্ব পেলেন ভারতের।, সোহিনী বাংলাদেশের নাগরিক। অবশেষে সেই প্রশ্নের জবাব মিলল কেন্দ্রের তরফে নাগরিকত্ব প্রদান করে।
তবে নাগরিকত্বের এই খবরের আগেই বিতান অধিকারীর নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুদান সংগ্রহ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ‘ইন লাভিং মেমোরি অফ বিতান অধিকারী’ শিরোনামে একটি ফান্ডরেইজার চলছিল, যেখানে এক লক্ষ ডলারের বেশি অর্থ উঠেছিল। বিতানের স্ত্রী সোহিনীর তরফে ক্যাম্পেনটি চালানো হলেও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সেসময় তার নাগরিকত্ব নিয়ে।