প্রবীণ অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মধুমতি আর নেই। ১৫ অক্টোবর, ৮৭ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (Madhumati Death) । আঁখেন, টাওয়ার হাউস, শিকারি এবং মুঝে জিনে দো-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাঁকে বলিউডের স্মরণীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা এনে দিয়েছিল। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে মধুমতি তাঁর অনন্য নৃত্যভঙ্গি, অভিব্যক্তি এবং আকর্ষণীয় পর্দা উপস্থিতির মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। প্রায়ই হেলেনের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হলেও, মধুমতির স্বতন্ত্র নৃত্যশৈলী ও অভিনয়ের জাদু তাঁকে একেবারে আলাদা পরিচয় দিয়েছিল।
প্রবীণ অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মধুমতি আর নেই। ১৫ অক্টোবর, ৮৭ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আঁখেন, টাওয়ার হাউস, শিকারি এবং মুঝে জিনে দো-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে তাঁর অসাধারণ অভিনয় তাঁকে বলিউডের স্মরণীয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক বিশেষ জায়গা এনে দিয়েছিল। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে মধুমতি তাঁর অনন্য নৃত্যভঙ্গি, অভিব্যক্তি এবং আকর্ষণীয় পর্দা উপস্থিতির মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। প্রায়ই হেলেনের সঙ্গে তাঁর তুলনা করা হলেও, মধুমতির স্বতন্ত্র নৃত্যশৈলী ও অভিনয়ের জাদু তাঁকে একেবারে আলাদা পরিচয় দিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রের থানেতে জন্মগ্রহণ করেন মধুমতি। পরিবারের বাধার মধ্যেও অল্প বয়সেই তিনি মঞ্চে পারফরম্যান্স শুরু করেছিলেন। কত্থক, মণিপুরী, কথাকলি এবং ভরতনাট্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি সরকারি স্কুলে নৃত্য শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরু করেন। সিনেমায় অভিষেক ঘটে ১৯৫৭ সালের মারাঠি ছবিতে ‘রাজা হরিশচন্দ্র’-এর একটি নাচের গানের মাধ্যমে।
মধুমতি ১৯৬৯ সালের তালাশ ছবিতে রাজেন্দ্র কুমার ও শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি লক্ষ্মী ছায়া, বেলা বোস এবং হেলেনের সঙ্গে একাধিক নৃত্য পরিবেশনে অংশ নেন। হেলেনের সঙ্গে তাঁর পারফরম্যান্স প্রায়শই দর্শকদের মুগ্ধ এবং কখনও বিভ্রান্ত করতো।
সব খবর
মধুমতির শেষ বলিউড ছবি ছিল ১৯৭৭ সালে ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’। এরপর তিনি মুম্বাইয়ে নিজের মধুমতী ডান্স একাডেমির মাধ্যমে, তরুণ প্রতিভা গড়ে তোলায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর মৃত্যুতে ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং নৃত্য জগত এক মহান শিল্পীকে হারাল। মৃত্যুর কারণ ও শেষকৃত্যের বিস্তারিত এখনও প্রকাশিত হয়নি।


