চাল ধোয়া পানির উপকারিতা: স্কিনের জন্য এক অবিশ্বাস্য টিপসশীতে ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শীতের সময় বাতাস অনেক শুষ্ক থাকে, আর এর ফলে ত্বকও সহজেই শুষ্ক হয়ে যায় (Rice Water Benefits)। তবে চিন্তা করার কিছু নেই, কারণ সঠিক উপায়ে ত্বক যত্ন নিলে আপনি সহজেই উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে পারেন।
এ শীতে আপনি ঘরোয়া উপাদান দিয়েই ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। এতে আপনার ত্বক থাকবে প্রাণবন্ত এবং সজীব। অনেকেই জানেন না, যে কিছু সাধারণ এবং সহজ উপাদান যেমন মধু, আলোভেরা, গোলাপজল বা বাদাম তেল ব্যবহার করেই ত্বককে সুরক্ষিত এবং আর্দ্র রাখা সম্ভব।
বলছিলাম চাল ধোয়া পানির উপকারিতা কথা। ঘরে থাকা চাল দিয়েই তৈরি করতে পারবেন এই রাইস ওয়াটার। চাল ধোয়ার সময় যে পানি বের হয়, তা রাইস ওয়াটার নামে পরিচিত। এতে ভিটামিন বি, ই, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দু’বার ব্যবহারেই এর ফলাফল পাবেন।
চাল ধোয়া পানির গুণাগুণ (Rice Water Benefits)
চাল ধোয়া পানি ত্বক নরম করে
চালের ধোয়া পানি বা রাইস ওয়াটার ত্বকের জন্য এক আশ্চর্য উপাদান (Rice Water Benefits)। এটি ত্বককে নরম ও কোমল রাখে এবং ত্বকের ডেড সেল বা মৃত কোষগুলো দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা আবার ফিরে আসে এবং ত্বক হয়ে ওঠে আরও প্রাণবন্ত।
সব খবর
চাল ধোয়া পানি ত্বককে হাইড্রেট করে
রাইস ওয়াটার শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় না, এটি ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে, চাল ধোয়া পানির উপকারিতা শীতের শুষ্ক ত্বকের জন্য একদম আদর্শ। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজড ভাব এনে দেয়, ফলে শীতের ঠাণ্ডায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও অনেকটা কমে যায়।
চাল ধোয়া পানি বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়
রাইস ওয়াটারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকে ফ্রি র্যাডিকেলদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি ত্বকে বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার মতো বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে। ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ খুব সহজে দেখা যায় না।
চাল ধোয়া পানি ত্বককে উজ্জ্বল করে
রাইস ওয়াটারে থাকা স্টার্চ ত্বককে গভীরভাবে পুষ্ট করে এবং এর স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি ত্বকে মসৃণতা এবং প্রাকৃতিক রঙ এনে দেয়, ফলে ত্বক আবার প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
চাল ধোয়া পানি ব্রণ কমায় (Rice Water Benefits)
রাইস ওয়াটারে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে, যা ব্রণ এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকে মৃদু উপশম এনে দেয় এবং ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সাথে লড়াই করতে সহায়ক। এর ফলে ত্বক পরিষ্কার ও মসৃণ থাকে, আর ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এখন জানা যাক রাইস ওয়াটার কীভাবে ব্যবহার করবেন?
টোনার হিসেবে ব্যবহার: রাইস ওয়াটার একটি স্প্রে বোতলে ভরে মুখে স্প্রে করুন। এটি ত্বককে সতেজ ও পরিষ্কার রাখবে।
ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার: একটি তুলোর প্যাডে রাইস ওয়াটার নিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এটি ত্বকের সমস্ত ময়লা ও তেল দূর করে, এবং ত্বককে কোমল রাখে।
আইস কিউব আকারে ব্যবহার: রাইস ওয়াটার একটি বরফের ট্রেতে জমিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে এটি মুখে ঘষুন। এটি ত্বককে তাজা এবং সজীব রাখবে।
ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার: রাইস ওয়াটার দিয়ে ঘরোয়া ফেস মাস্ক তৈরি করে ত্বকে লাগান। এটি ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
🔴 প্রতিনিয়ত সর্বশেষ খবর পেতে এখনই Google-এ সার্চ করুন “JKNEWS24 Bangla”। পাশাপাশি, আরও দ্রুত আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন JKNEWS24 WhatsApp Channel — প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এক ক্লিকে পৌঁছে যাবে আপনার মোবাইলে!
চাল ধোয়া পানি দিয়ে মুখ ধুলে কি হয়?
চাল ধোয়া জল মুখে লাগালে ত্বকের জন্য বেশ কিছু আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, রোমকূপের ছিদ্র ছোট করে এবং তেল বা সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল। চালের জলে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং এটি একটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। তবে মনে রাখতে হবে, সবার ত্বক একরকম নয়—তাই কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জি বা জ্বালাভাবের কারণও হতে পারে।
চালের পানি কি ব্রণের জন্য ভালো?
চাল ধোয়া জল মুখে লাগালে ত্বকের জন্য বেশ কিছু আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, রোমকূপের ছিদ্র ছোট করে এবং তেল বা সেবাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল। চালের জলে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে পুষ্টি দেয় এবং এটি একটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। তবে মনে রাখতে হবে, সবার ত্বক একরকম নয়—তাই কারও কারও ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জি বা জ্বালাভাবের কারণও হতে পারে। ব্যবহারের আগে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো।
চালের পানি কি ব্রণের জন্য ভালো?
ভাতের জলে থাকা প্রদাহ-বিরোধী উপাদান ত্বকের লালভাব ও ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যাদের ব্রণ বা পিম্পল-প্রবণ ত্বক রয়েছে, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী। এছাড়া, এতে থাকা ফেরুলিক অ্যাসিড ও অ্যালানটোইন নামের উপাদান ত্বকের কালো দাগ ও হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক আরও উজ্জ্বল, মসৃণ ও দাগহীন দেখায়। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্নে ভাতের জল হতে পারে এক দুর্দান্ত বিকল্প।
মুখে চাল বাটা দিলে কি হয়?
চালের গুঁড়ো বা চাল বাটা প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে রাখে, কালচে দাগ হালকা করে এবং মৃত কোষ পরিষ্কার করে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চালের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া কমায়।


