Smart Citizenship Card 2025: বর্তমানে ভারতে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য শুধু আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ডই যথেষ্ট নয়। বিভিন্ন সরকারি ডাটাবেস থেকে তথ্য চুরি এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির ঘটনা এই নথিগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য আরও সুরক্ষিত পরিচয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড নামে এক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।
Smart Citizenship Card 2025:
কেন নতুন কার্ডের প্রয়োজন?
আধার কার্ড যখন প্রথম চালু হয়েছিল, তখন এটিকে একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থা হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে, আধার তথ্য ফাঁস, জাল আধার কেন্দ্র তৈরি এবং অনুপ্রবেশকারীদের হাতে আধার কার্ড পৌঁছে যাওয়ার মতো একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এর ফলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, আসন্ন জনগণনা এবং সমীক্ষায় আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। শুধু আধার নয়, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড বা প্যান কার্ডও নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়।
- তথ্য ফাঁস: একাধিকবার সরকারি ডাটাবেস থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
- জাল পরিচয়পত্র: অনুপ্রবেশকারীরা সহজেই জাল আধার কার্ড, পাসপোর্ট এবং এমনকি জন্ম বা জাতিগত প্রশংসাপত্র তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।
- অসম্পূর্ণ নথি: অনেক সাধারণ নাগরিকের কাছে জন্ম বা জাতিগত প্রশংসাপত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি নেই, যা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
কী এই স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড?
এই সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ‘স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড’ চালু করার পরিকল্পনা করেছে। দেশব্যাপী জনগণনা ও সমীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর, বৈধ নাগরিকদের এই কার্ড প্রদান করা হবে। এটি হবে ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের একমাত্র এবং চূড়ান্ত নথি। কার্ডটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হওয়ায় জাল করা প্রায় অসম্ভব। এর মাধ্যমে নাগরিকরা সহজেই তাদের পরিচয় প্রমাণ করতে পারবেন এবং সরকারি প্রকল্প ও সুবিধাগুলি সুবিধাজনকভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
পুরনো কার্ডগুলোর কী হবে?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, নতুন স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ড চালু হলে আধার, ভোটার বা প্যান কার্ডের মতো পুরনো নথিগুলোর কী হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই পুরনো কার্ডগুলো বাতিল করা হবে না এবং প্রতিটি কার্ড তার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।
- আধার কার্ড: ব্যাঙ্কিং এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হবে।
- ভোটার কার্ড: ভোট দেওয়ার জন্য অপরিহার্য থাকবে।
- রেশন কার্ড: সরকারি রেশন সুবিধা থেকে খাদ্যশস্য পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে।
- প্যান কার্ড: আয়কর সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করা হবে।
নতুন স্মার্ট সিটিজেনশিপ কার্ডের মূল উদ্দেশ্য হবে শুধু ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। এর ফলে পরিচয় যাচাই প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, সহজ এবং সুরক্ষিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |