হাড় কাঁপানো এক ঘটনায় স্তম্ভিত উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলা। কোসি কালান অঞ্চলে এক যুবক নিজের জন্মদাতা বাবাকে খুন করেছে (Uttar Pradesh Crime) । কারণ জানলে শিউরে উঠবেন — ওই বাবা নাকি দীর্ঘদিন ধরে নিজের মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। অভিযোগ জানতে পেরে সেই যুবক আর নিজের রাগ, কষ্ট ও লজ্জা সহ্য করতে পারেনি। ফলে কাকার ছেলের সঙ্গে মিলে বাবাকে হত্যা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের বয়স ছিল প্রায় ৫৫ বছর। সমাজকেও নাড়িয়ে দেওয়া এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকায়।
প্রথমে ছুরি দিয়ে আঘাত, পরে গুলি করে খুন
NDTV-র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এক মর্মান্তিক ও শিউরে ওঠার মতো চিত্র। জানা গিয়েছে, মৃত রামলাল নামের ওই ব্যক্তি ইসলামপুর রোডের নিজের বাড়িতেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় প্রতিরাতেই তিনি মদ্যপ অবস্থায় ফিরে এসে মেয়েদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাতেন। অভিযোগ আরও গুরুতর — বহুদিন ধরে মেয়েদের ঘরে আটকে রেখে তাঁদের শারীরিকভাবে শোষণ এবং ধর্ষণ করতেন রামলাল। অবশেষে এই নৃশংসতার কথা জানতে পারেন তাঁর ছেলে মোহিত। ক্ষোভে-অভিমানে ফেটে পড়ে, রবিবার দুপুরে কাকার ছেলে অমিতের সঙ্গে মিলে ছুরি ও বন্দুক দিয়ে নিজের বাবাকে খুন করে সে। মথুরার কোসি কালান অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি এখন পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
মৃত ব্যক্তির নামে রয়েছে একাধিক কুখ্যাত রেকর্ড
বিভিন্ন সূত্রের দাবি, নিহত রামলাল এবং তাঁর পরিবার মূলত রাজস্থানের বাসিন্দা ছিলেন। জানা গিয়েছে, জীবিত অবস্থায় রামলাল ছিলেন একাধিক ভয়াবহ অপরাধের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের নথি অনুযায়ী, ২০০৮ সালে তিনি নিজের জন্মদাত্রী মাকে হত্যা করেন। এরপর ২০১৪ সালের দিকে নৃশংসভাবে খুন করেন নিজের স্ত্রী এবং মাত্র দুই বছর বয়সী মেয়েকে। এতসব অপরাধের জন্য দীর্ঘদিন জেল খাটেন রামলাল। পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মথুরার কোসি কালান এলাকায় বসবাস শুরু করেন। স্থানীয়দের মতে, মুক্তির পরও তাঁর আচরণে কোনও পরিবর্তন আসেনি, বরং নেশা ও নির্যাতনের অভ্যাস আরও বেড়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, রামলালের মৃত্যুর পরই স্থানীয়রা খবর দেন পুলিশে। পরবর্তীতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন উর্দিধারীরা। সেখান থেকে দ্রুত রামলালের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল এবং একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সেই খবর এখনও অধরা।
সব খবর


