HS Exam 2025: দেখতে দেখতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam 2025)। আগামী ৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, যা চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। সেই অনুযায়ী, এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। অন্যদিকে পরীক্ষাপর্বে পরীক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ নিয়মের কথা জানিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE), যা অবশ্যই মানতে হবে। তবে এবার কিছুটা শিথিল করা হয়েছে পরবর্তী নতুন শিক্ষাবর্ষের নিয়ম।
আসলে পরবর্তী বছর থেকে একাদশ ও দ্বাদশ এই দুটি শ্রেণীর মিলিয়ে মোট চারটি সেমেস্টারে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে যে বিষয়গুলির প্র্যাকটিক্যাল রয়েছে। সেগুলির জন্য পরীক্ষার্থীরা জটিল অঙ্কের দ্রুত সমাধান করতে ক্যালকুলেটর ব্যবহার করত। কিন্তু কয়েক মাস আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিল। সেমেস্টার পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। এই সিদ্ধান্তে অনেক পড়ুয়া চিন্তায় পড়েছিল, কারণ তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি একেবারে অন্যরকম ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে এখন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই নিয়মে বড় ধরনের পরিবর্তন আনল। তবে মনে রাখতে হবে। থিওরি পরীক্ষায় এই নিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না।
সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা নিয়ে শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটর ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হল। তবে পড়ুয়ারা শুধু মাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, কোনও বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেটর এক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।” তবে শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, শুধু প্র্যাকটিকাল পেপার নয় থিয়োরি পরীক্ষাতেও অনেক জটিল অঙ্ক থাকে, সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে। তাই সেই দিকেও নজর দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষা সংসদের।
তবে সকলেই যে শিক্ষা সংসদের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করছে না, তা নয়। অনেক শিক্ষক মহলের মতে, যে পদ্ধতিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তাতে থিয়োরি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারের তেমন প্রয়োজন হবে না। এর ফলে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া যথাযথ হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এই বিষয়ে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানিয়েছেন, “পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ক্যালকুলেটরের ব্যবহার তাদের স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাই।”