রহান, কলকাতা: মাওবাদী দমন অভিযানে ফের একবার বড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। অন্ধ্রপ্রদেশে শীর্ষ মাওবাদী নেতা মাডবী হিডমার মৃত্যুর ঠিক এক মাসের মধ্যেই এবার ওড়িশার কন্ধমল জেলায় এনকাউন্টারে খতম হল আরও এক কুখ্যাত মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (Maoist Encounter)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, গণেশ উইকের মাথার দাম ছিল প্রায় ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা, ফলে তার মৃত্যু মাওবাদী সংগঠনের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিরাপত্তা রক্ষীর সাথে তুমুল সংঘর্ষ
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে ওড়িশার কন্ধমল জেলার একটি গভীর জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি যৌথ দল সেখানে অভিযান চালায়। তল্লাশি চলাকালীন মাওবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলে।
এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সংঘর্ষে মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ওই শীর্ষ মাওবাদী নেতার নাম গণেশ উইকে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাওবাদী সংগঠনের অন্দরমহলে গণেশ একাধিক নামে পরিচিত ছিল—পাক্কা হনুমন্তু, রাজেশ তিওয়ারি, চামরু ও রুপা নামেও সে পরিচয় দিত। আরও জানা গিয়েছে, গণেশ উইকে তেলেঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার চেন্দুর মণ্ডলের পুল্লেমালা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের নথি অনুযায়ী, গণেশ উইকের মাথার দাম ছিল ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা এবং শীর্ষ মাওবাদী নেতা হিডমার মৃত্যুর পর থেকেই সে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ নজরে ছিল। তাকে ধরতে একাধিক রাজ্যে ধারাবাহিক তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়েছিল। এই সংঘর্ষে নিহত বাকি তিন মাওবাদীর পরিচয় এখনও শনাক্ত করার কাজ চলছে, তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মহিলা মাওবাদী সদস্যও রয়েছে। বুধবার রাতে কন্ধমল জেলার বেলঘর থানার অন্তর্গত গুম্মার জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ, যেখানে একাধিক সশস্ত্র মাওবাদীর সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের থাকার তথ্য ছিল। সেই গোপন খবরের ভিত্তিতেই রাতভর অভিযান চালানো হয় এবং শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ভোরে এই বড় সাফল্য আসে।
