ফুটবল যেন কথা বলে তাঁর পায়ে! মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং—তিন প্রধান ক্লাবেই খেলেছেন তিনি। আর এবার, সেই কিংবদন্তি ফুটবলারের গল্প আসতে চলেছে বড় পর্দায়! ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের (Dippendu Biswas) জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন ছবি ‘দিপু’। দেশের হয়ে যিনি বহুবার সম্মানিত হয়েছেন, তাঁর জীবনের অনেক অধ্যায় এখনও অনেকের কাছে অজানা। এই ছবিতে উঠে আসবে ছোট্ট দীপুর ফুটবল স্বপ্ন দেখা থেকে শুরু করে জাতীয় স্তরে নিজের জায়গা করে নেওয়ার অসাধারণ সফর। গ্রামের এক ফুটবল কোচের হাত ধরে স্বপ্ন দেখতে শেখা, কলকাতার মাঠে নিজেকে প্রমাণ করা, সম্মান জয় করা—এই উত্থান, সংগ্রাম আর সাফল্যের কাহিনিই এবার ফুটবে রুপোলি পর্দায়!
এই ছবিতে দিপু-র ভূমিকায় দেখা যাবে ‘ময়দান’ সিনেমায় অভিনীত শিল্পী আমন মুন্সি-কে। দিপুর কোচের চরিত্রে থাকছেন সোহম চক্রবর্তী, যিনি এই প্রথম কোনও স্পোর্টস ড্রামায় অভিনয় করছেন। দিপুর জীবনের আদর্শ, ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস-এর চরিত্রও ছবিতে উপস্থিত থাকবেন, যেখানে দীপেন্দু নিজেই অভিনয় করেছেন নিজের চরিত্রে।
এছাড়া, ছবিতে বর্ষা সেনগুপ্ত-কেও দেখা যাবে, যিনি এই ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দায় তাঁর অভিনয়ের অভিষেক করবেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, মৌসুমী সাহা, বিশ্বনাথ বসু, সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়, তমাল রায় চৌধুরী, দেব রঞ্জন নাগ, অনুশ্রী ভট্টাচার্য, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সৌরভ চট্টোপাধ্যায় এবং আরও অনেকে। ছবিটি পরিচালনা করছেন মিউজিক ডিরেক্টর শ্রী প্রীতম, যিনি কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং সঙ্গীতের দায়িত্বও নিয়েছেন। ফুটবল কিংবদন্তির জীবন অবলম্বনে তৈরি এই ছবি একেবারে এক নতুন আঙ্গিকে ফুটবে পর্দায়।
এই ছবিটি নিয়ে সোহম চক্রবর্তী বলেছেন, “কেরিয়ারে এই প্রথম এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছি, যেটা আমায় ভাবাচ্ছে। নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, আমি রোমাঞ্চিত হচ্ছি। গ্রামবাংলার একটা খুব সাধারণ ঘরের ছেলের স্বপ্নপূরণের গল্প। তারই কোচের চরিত্রে রয়েছি আমি। দীপেন্দু বিশ্বাস না থাকলে এই ছবিটা ভাবা অসম্ভব ছিল। ওঁর তত্ত্বাবধানেই ছবিটি তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ‘বর্ষা এন্টারটেইনমেন্ট’-কে অনেক ধন্যবাদ। এই ধরণের বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে সবসময়ে আলাদা ইচ্ছে বা রুচির প্রয়োজন হয়—গ্রামবাংলার ছেলেদের ইচ্ছে, তাদের স্বপ্নপূরণের খিদে, ভালোবাসা, আবেগ, উন্মাদনা। গল্পের পরতে পরতে এই সবকিছুর ঝলক রয়েছে। এই ছবির আরও যে দিকটা বলতে হবে, সেটা হল—এই ছবিটা ভীষণ উদ্বুদ্ধ করতে পারবে সাধারণ মানুষকে। সবাই মন ভালো করে বাড়ি ফিরবেন।