Cyber Attack on X Handle: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার জন্য সাইবার আক্রমণকে দায়ী করেছেন সংস্থার সিইও এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্ক। তিনি দাবি করেছেন এই সাইবার আক্রমণটি ইউক্রেন থেকে চালানো হয়েছে। মাস্কের এই বক্তব্যটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই মনে করছেন। তিনি ইউক্রেনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে চেয়েছেন। এর ফলে নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার গোটা বিশ্বে একাধিকবার এক্স-এর পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটে। এর ফলে অনেক ব্যবহারকারী অসুবিধার মুখে পড়েন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ-এর সাক্ষাৎকারে এই বিভ্রাটের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ইলন মাস্ককে। জবাবে তিনি বলেন, “ঠিক কী হয়েছিল, আমরা জানি না। কিন্তু এটা একটা বড় সাইবার হানার ঘটনা। যা এক্স-এর গোটা ব্যবস্থাকে থামিয়ে দিয়েছিল। ইউক্রেন এলাকার আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ঘটনাটি ঘটানো হয়।
অন্যদিকে, প্যালেস্টাইনপন্থী একটি হ্যাকার গোষ্ঠী, ডার্ক স্টর্ম, সাইবার হানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলাকে সমর্থন জানিয়ে এই গোষ্ঠীটি বিভিন্ন দেশে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছিল। এক্স-এর পরিষেবা বিপর্যয়ের পরেই ইলন মাস্ক মুখ খুলেছিলেন এবং বলেছিলেন, “আগেও এক্স সাইবার হানার সম্মুখীন হয়েছে, তবে এবারের আক্রমণ আরও সংগঠিতভাবে করা হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, এই কাজের পেছনে বড় গোষ্ঠী এবং কিছু দেশের হাত রয়েছে। তবে, মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিতে বিশ্বব্যাপী বিভ্রাটের কিছু সময় পরেই পরিষেবাগুলি আবার সচল হয়ে যায়।
ইলন মাস্কের এই মন্তব্যকে ভূ-রাজনৈতিক অঙ্কে মাপছেন অনেকে। কারণ ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরোধী হিসাবেই পরিচিত। তাছাড়া এখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের প্রধানও বটে, যে দফতর ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধ হয়েছিল ট্রাম্পের। তারপর থেকে এখনও কিয়েভ এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। এই আবহে মাস্কের ওই উক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে কোন খাতে বওয়ায়, সে দিকে নজর সকলের।