রঘুনাথগঞ্জ, 24 অগস্ট: দুইবারের ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল গৃহবধূর দেহ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রবিবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এবং মসজিদ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তেঘড়ির হাজিপাড়া এলাকার কবর থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর দেহটি দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী AIIMS হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, চার মাস আগে, গত ২৯ এপ্রিল, তেঘড়ির বাসিন্দা ফাতেমা খাতুন (২০) এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে। ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তবে ফাতেমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্য দাবি করেন, তিনি নিজেই গলায় ফাঁস দিয়েছেন। অন্যদিকে, ফাতেমার বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে স্বামী এজাজ আহমেদ এবং শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে ৷ তবে, কয়েকদিনের মধ্যেই তিনজন জামিনে ছাড়া পেয়ে যান ৷ কিন্তু, পুলিশের তদন্তে একেবারেই খুশি ছিল না ফাতেমার পরিবার ৷ তাই তাঁরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ সেই মামলায় উচ্চ আদালত দ্বিতীয়বার দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ৷
সেই নির্দেশনার ভিত্তিতে রবিবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে ফাতেমা খাতুনের দেহ তোলা হয়। ওই সময় খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী এজাজ আহমেদও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কবর থেকে দেহ তোলাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দেহ তোলা দেখতে স্থানীয় ও আশেপাশের গ্রামের মানুষজন কবরস্থানে ভিড় জমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছিল।
পরিবারের অভিযোগ, “খুন করে তদন্তের মোড় ঘোরাতেই ফাতেমার দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ প্রথমবারের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম না ৷ তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম ৷”
এনিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে মৃতদেহ তুলে ফের ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ ঘটনায় তিনজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষ ৷”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |