বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 3

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের উপকূল, সুনামি হুঁশিয়ারি

রহান, কলকাতা: জাপানের উপকূলের কাছে সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার প্রাথমিক মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.২ হিসেবে অনুমান করা হয়েছে (Tsunami off the coast of Japan)। ভূমিকম্পের পরই কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে এবং উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখনও তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয়রা সতর্ক রয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে।

Tsunami off the coast of Japan

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি আওমোরি ও হোক্কাইডো উপকূলের কাছে গভীর সমুদ্রে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব জাপানের উপকূলে তিন মিটার (প্রায় ১০ ফুট) উচ্চতার সুনামি আঘাত হানতে পারে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার ইয়াকুতাতের কাছে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনে, যা মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছিল, জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আলাস্কা ও কানাডার ইউকন সীমান্তের পাহাড়ি প্রত্যন্ত এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি এবং এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি আলাস্কা শহর জুনো থেকে ৩৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং কানাডার হোয়াইটহর্স থেকে ২৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে হয়েছিল।

Career in Indian Museums: জাদুঘরে চাকরির যোগ্যতা, কোন ডিগ্রি আবেদন করতে পারবেন?

পিংকী, কলকাতা: এবার ভারতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১,০০০-এরও বেশি জাদুঘর আছে, যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুমোদিত। এই সমস্ত জাদুঘরে নিয়মিত কর্মী নিয়োগ করা হয় (Career in Indian Museums)। সাধারণত নিয়োগের জন্য আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়, যেমন আর্কিয়োলজি, ইতিহাস, আর্টস বা মিউজিয়ম ম্যানেজমেন্টে ডিগ্রি। অনেক ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়। কিছু জাদুঘরে প্রশিক্ষণ-ভিত্তিক নিয়োগও থাকে, যেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে শুরু করতে হয় এবং পরে স্থায়ী পদে উন্নীত হওয়া যায়। এছাড়া, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের নিয়োগ নীতি অনুযায়ী বয়সসীমা ও অন্যান্য শর্তাবলি প্রযোজ্য।

কোন কোন পদে নিয়োগ করা হয়? (Career in Indian Museums)

কিউরেটর, ডেপুটি কিউরেটর, কনজ়ারভেটর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, কনজ়ারভেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফোটোগ্রাফার, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট, জুনিয়র রিসার্চ ফেলো, সায়েন্টিস্ট, লাইব্রেরিয়ান, ক্লার্ক, ম্যানেজার, মেন্টর, আর্কাইভিস্ট, গাইড, এগ্‌জ়িবিশন টেকনিশিয়ান, রিস্টোরেশন এক্সপার্ট পদে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে।

সুযোগ কারা পেতে পারেন?

মিউজ়িয়োলজি, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি—এই সমস্ত বিষয়ে উচ্চশিক্ষিতদের জাদুঘরগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে শুধু ইতিহাস বা সংস্কৃতিতেই সীমাবদ্ধ নয়। রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট, জুনিয়র রিসার্চ ফেলো, সায়েন্টিস্ট, লাইব্রেরিয়ান-এর মতো পদেও বিজ্ঞান, কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার উচ্চশিক্ষিতরা আবেদন করতে পারেন।

কী ভাবে নিয়োগ করা হয়?

জাদুঘর বা মিউজ়িয়ামগুলি সাধারণত কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত হয়। তাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন কিউরেটর, ডেপুটি কিউরেটর, কনজারভেটর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, কনজারভেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, ফোটোগ্রাফার, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর-এ নিয়োগের জন্য ইউপিএসসি, এসএসসি বা রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা আয়োজন করে।

এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের চুক্তিভিত্তিক পদ যেমন রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট, প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট, জুনিয়র রিসার্চ ফেলো, সায়েন্টিস্ট বা লাইব্রেরিয়ান-এও চাকরির সুযোগ থাকে। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জাদুঘরের কর্তৃপক্ষ সরাসরি ইন্টারভিউ বা পরীক্ষা আয়োজন করে প্রার্থীদের নির্বাচন করে থাকেন।

কোথায় নিয়োগ করা হয়?

নয়া দিল্লির ন্যাশনাল মিউজ়িয়াম, কলকাতার জাতীয় সংগ্রহশালা, ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজ়িয়াম-এর মতো সংস্থায় নিয়মিত ভাবে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও প্রতিটি রাজ্যে আর্কিয়োলজি, মিউজ়িয়াম বিভাগ এবং রিজিওনাল হেরিটেজ় মিউজ়িয়াম-এও চাকরির সুযোগ মেলে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১৭৬ জন কর্মী নিয়োগ! কীভাবে করবেন আবেদন?

পিংকী, কলকাতা: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে নতুন কাজের সুযোগ এসেছে (WB Govt job )। এখানে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান, স্টাফ নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে মোট ১৭৬টি শূন্যপদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হবে। ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট পাবেন মাসে ২২ হাজার টাকা, স্টাফ নার্স পাবেন ২৫ হাজার টাকা এবং কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের বেতন ধরা হয়েছে ১৩ হাজার টাকা, যেখানে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ—১৪৭টি—কমিউনিটি হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১৭৬ জন কর্মী নিয়োগ (WB Govt job)

আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের নার্সিং-এ যে কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ হতে হবে এবং বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে, তবে স্টাফ নার্স পদে ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত যোগ্যতা ও আবেদনের প্রক্রিয়া জানতে জেলা প্রশাসনের মূল বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে।

আবেদন কী ভাবে করবেন?

প্রার্থীদের প্রথমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক ওয়েবসাইটে যেতে হবে। হোমপেজ থেকে ‘রিক্রুটমেন্ট’ বিভাগে ঢুকলেই সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তি দেখা যাবে। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে হবে, পাশাপাশি নির্ধারিত আবেদনমূল্যও জমা দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন এবং ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২১ ডিসেম্বর, আর সম্পূর্ণ আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৩ ডিসেম্বর।

নিখোঁজ শিবম ১২ বছর পর বাড়ি ফিরল, কেদারনাথ বিপর্যয়ের স্মৃতি

রহান, কলকাতা: ২০১৩ সালের কেদারনাথের ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল (Kedarnath Flood)। নিখোঁজ হয়েছিলেন বহু তীর্থযাত্রী। তাঁদের মধ্যেই একজন ছিলেন শিবম। বছরের পর বছর কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবার ধরে নিয়েছিল—তিনি আর জীবিত নেই। হিন্দু রীতিনীতিমতো তাঁর শ্রাদ্ধ ও সৎকারও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, দীর্ঘ ১২ বছর পর জানা গেল—শিবম আসলে বেঁচে আছেন! তাঁর সন্ধান মিলেছে মহারাষ্ট্রের সাম্ভাজীনগরে।

কীভাবে মিলল শিবম এর খোঁজ? (Kedarnath Flood)

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, ২০২১ সালে সাম্ভাজীনগরের এক মন্দিরে চুরি হওয়ার ঘটনায় তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ চোরদের জেরা করার সময় শিবমের নামও সামনে আসে, কারণ তিনি সেই মন্দিরেই থাকতেন। শিবমকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁর মানসিক অবস্থার জটিলতা লক্ষ্য করে পুণের মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তদন্তে পরিষ্কার হয় যে চুরির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই এবং তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও দেওয়া হয়। কিন্তু এখানেই উঠে আসে বড় প্রশ্ন—আসলে তিনি কে, তাঁর বাড়ি কোথায়? আর সেই খোঁজ থেকেই বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য তথ্য, তিনি কেদারনাথ বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ হওয়া শিবমই।

আরও পড়ুনঃ Starlink Plan Cost: ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল ও নতুন প্ল্যানের দাম জানুন

আরএমএইচ-এর সোশ্যাল সার্ভিস সুপারিন্টেনডেন্ট রোহিণী ভোসলে জানান, শিবমের সঙ্গে কথা বলা বেশ কঠিন ছিল, কারণ তিনি পাহাড়ি ভাষায় কথা বলতেন এবং পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় চলাফেরাতেও সমস্যা ছিল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, এমন অবস্থায় শিবম চুরির সঙ্গে যুক্ত—এটা কখনই স্বাভাবিক মনে হয়নি। এরপর ২০২৩ সালে হঠাৎই শিবমের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে একটি নাম—‘প্রেম বিদ্যালয়’, রুরকী। আর এই একটি নামই হয়ে ওঠে তাঁর পরিচয়ের প্রথম সূত্র। সঙ্গে সঙ্গেই রুরকী থানায় যোগাযোগ করা হয়, এবং সেখান থেকেই মিলতে শুরু করে তাঁর পরিবারের খোঁজ।

শিবমকে ১২ বছর পর পেয়েছে পরিবার

বহু ভুল বোঝাবুঝি, মানসিক অসুস্থতা এবং পরিচয়ের বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে অবশেষে ৫৫ বছর বয়সে শিবম ৫ নভেম্বর ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, শিবম Disorganized Schizophrenia নামে এক রোগে আক্রান্ত ছিলেন, যার ফলে মানুষের চিন্তাভাবনা ও দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রায় সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যায়। তবে বর্তমানে তাঁর পরিবার তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে এবং আপাতত তারা কোনও রকম মন্তব্য করতে চাইছেন না।

Starlink Plan Cost: ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়াল ও নতুন প্ল্যানের দাম জানুন

রহান, কল্কাতাঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভারতে শুরু হতে চলেছে এলন মাস্কের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিঙ্ক। স্টারলিঙ্ক কোম্পানি ভারতের জন্য তাদের নিজস্ব ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং সেখানেই ঘোষণা করা হয়েছে স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট প্ল্যানের দাম (Starlink Plan Cost)। এখন স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে একটাই প্রশ্ন—এই হাই-স্পিড স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে প্রতি মাসে কত টাকা খরচ হবে? সেই উত্তর জানতে অবশ্যই পুরো প্রতিবেদনটি পড়ে নিন।

স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট প্ল্যানের মাসিক চার্জ (Starlink Plan Cost)

স্টারলিঙ্কের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের হাই-স্পিড ইন্টারনেট প্ল্যানের দাম রাখা হয়েছে প্রতি মাসে ৮,৬০০ টাকা। এটি এক মাসের প্ল্যান হলেও, কোম্পানি ব্যবহারকারীদের জন্য প্রথম মাস পুরোপুরি বিনামূল্যে পরিষেবা দিচ্ছে। অর্থাৎ, আপনি যদি পরিষেবা ব্যবহার করে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে কোম্পানি নিঃশর্তে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেবে। আর এই সুবিধা সেই সমস্ত এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড কানেকশন পাওয়া যায় না।

ওয়েবসাইটে তথ্য অনুযায়ী, স্টারলিঙ্কের ৮৬০০ টাকার সাবস্ক্রিপশন প্ল্যানে আনলিমিটেড ডেটা দেওয়া হবে। নতুন ব্যবহারকারীরা শুরুতে ৩০ দিনের ফ্রি ট্রায়ালও পাবেন। কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের সিস্টেম এমনভাবে তৈরি যে এটি সব ধরনের আবহাওয়ায় স্থিরভাবে কাজ করতে পারে, আর আপটাইমও থাকে ৯৯.৯০%-এর বেশি। অর্থাৎ বৃষ্টি, ঝড় বা খারাপ আবহাওয়া—যাই হোক না কেন, স্টারলিঙ্কের নেটওয়ার্ক চালু থাকবে।

স্টারলিঙ্ক কিটের মোট খরচ কত?

ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে, আর সেই কারণেই কোম্পানি ইতিমধ্যেই তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট starlink.com/in চালু করেছে। সেখানে প্ল্যানের দাম থেকে শুরু করে পরিষেবার সমস্ত তথ্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই স্যাটেলাইট-ভিত্তিক পরিষেবা ব্যবহার করতে হলে গ্রাহকদের আগে একবারের জন্য একটি বিশেষ কিট কিনতে হবে। এই কিটের দাম রাখা হয়েছে ৩৪,০০০ টাকা, যা এককালীন পেমেন্টের মাধ্যমে দিতে হবে। এই কিট না থাকলে স্টারলিঙ্ক সংযোগ ব্যবহার করা যাবে না। উল্লেখ্য, ভারতে পরিষেবা চালুর জন্য স্টারলিঙ্ক ইতিমধ্যেই সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। এখন শুধুই আনুষ্ঠানিক লঞ্চের অপেক্ষা।

রতন টাটা কে? বাংলায় জানুন রতন টাটার সম্পূর্ণ জীবনী

সামিউন খাতুন, কলকাতাঃ ২০২৪ সালে ভারত হারিয়েছে বহু মহীয়সী ব্যক্তিত্বকে, যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata Biography in Bengali)। বিশ্বজুড়ে ছিল তাঁর খ্যাতি। কিন্তু বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় কখনও নাম রাখেননি রতন টাটা। টাটা গোষ্ঠীর নেট বাজারমূল্য যেখানে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি, সেখানে রতন টাটার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র ৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। কারণ, তিনি সারাজীবন দান ও মানবসেবার মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। টাটা গ্রুপের উপার্জনের একটি বড় অংশ শিক্ষা।

রতন টাটার জীবনী যেন এক সিনেমার গল্প। বাবা ছেড়ে যাওয়ার পর অসহায় মা ও ছোট ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন তাঁর দাদী। সেই ছোট্ট ছেলেটিই পরবর্তীতে পরিশ্রমের মাধ্যমে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন একটি সাধারণ পদে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তরুণই হয়ে ওঠেন টাটা গোষ্ঠীর প্রধান। তাঁর নেতৃত্বে একটি ছোট লোকাল কোম্পানি রূপ নেয় এক বিশাল আন্তর্জাতিক সংস্থায়। টানা ২১ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে রতন টাটা টাটা গ্রুপের ব্যবসা ছড়িয়ে দেন পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশের ১০০টিরও বেশি দেশে।

রতন টাটা কে ? Who is Ratan Tata ? 

রতন টাটা (Ratan Tata Biography in Bengali) ছিলেন একাধারে ভারতীয় শিল্পপতি, সমাজসেবী এবং টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৯০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। পাশাপাশি, টাটা ট্রাস্টের প্রধান হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রতন টাটা ভারতের দুটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার — পদ্মভূষণ (২০০০) এবং পদ্মবিভূষণ (২০০৮) — লাভ করেন।

রতন টাটার জীবনী (Ratan Tata Biography in Bengali)

নাম (Name)রতন টাটা (Ratan Tata)
জন্ম (Born) ২৮ ডিসেম্বর ১৯৩৭ (28th December 1937) 
জন্মস্থান (Birthplace) সুরাট, ব্রিটিশ ভারত
পেশা (Occupation)টাটা ট্রাস্টটাটা সন্সসের চেয়ারম্যান
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনকর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় হার্বাড বিজনেস স্কুল
পদবীটাটা সন্স অ্যান্ড টাটা গ্রুপ 
পুরস্কারপদ্মভূষণ (২০০০) পদ্মবিভূষণ (২০০৮) 

রতন টাটার জন্ম – Ratan Tata Birthday 

ভারতের অন্যতম সফল শিল্পপতি স্যার রতন টাটা ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটার দত্তক পৌত্র এবং নেভাল টাটার পুত্র। তাঁর মায়ের নাম সুনি টাটা। রতন টাটার জীবনের শৈশবটা ছিল খুব একটা সহজ নয়। যখন তাঁর বয়স মাত্র দশ বছর, তখন বাবা-মা পৃথক হয়ে যান। বাবার দ্বিতীয় বিয়ের পর মা অসহায় অবস্থায় পড়ে যান, আর ছোট্ট রতন আশ্রয় পান ‘জে. এন. পেটিট পারসি’ নামের এক অনাথ আশ্রমে। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর সংগ্রামী জীবনের পথচলা।

রতন টাটার শৈশবকাল – Ratan Tata Childhood

হিউম্যানস অফ বোম্বে,” নামক একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজের সঙ্গে কথোপকথনে রতন টাটা জানিয়েছেন, রতন টাটা (Ratan Tata) এর শৈশব অনেক আনন্দের সঙ্গে কেটেছে। যদিও মা বাবার ডিভোর্স নিয়ে তাঁকে ও তাঁর দাদাকে অনেক টিটকারির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। দাদির সঙ্গে বেড়ে ওঠার ফলে তাঁর দাদি তাঁকে জীবনের মূল্যবোধ শিখিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী, সাহিত্য ও সঙ্গীতের গল্প বিস্তারিত।

রতন টাটার শিক্ষাজীবন – Ratan Tata Education Life 

রতন টাটা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও অধ্যবসায়ী। প্রথমে চ্যাম্পিয়ন স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর মুম্বইয়ের ক্যাথেড্রাল অ্যান্ড জন ক্যানন স্কুল এবং সিমলার বিশপ কটন স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যান। ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন রতন টাটা (Ratan Tata)। এরপর ১৯৫৯ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি (Cornell University) থেকে আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে, ১৯৭৫ সালে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুল থেকে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন, যা তাঁর ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও প্রসারিত করে।

রতন টাটার ক্যারিয়ার – Ratan Tata Career

বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী রতন টাটার (Ratan Tata) কর্মজীবনের শুরুটা ছিল একেবারে সাধারণ চাকরি দিয়ে। পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের Jones and Emmons নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে কিছুদিন কাজ করেন। এরপর ১৯৬১ সালে টাটা গ্রুপে যোগ দিয়ে টাটা স্টিল-এ কর্মচারী হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন। সেখানে তাঁর প্রথম দায়িত্ব ছিল বিস্ফোরণ চুল্লি ও চুনাপাথর পরিচালনা করা— যা থেকে শুরু হয় তাঁর সংগ্রামের পথচলা। দীর্ঘ পরিশ্রম ও মেধার জোরে ১৯৯১ সালে তিনি টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হন এবং তাঁর নেতৃত্বে সংস্থাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সাফল্য অর্জন করে।

রতন টাটার টাটা গ্রুপে যোগদান – Ratan Tata Join Tata Group

১৯৯১ সালে জে আর ডি টাটা রতন টাটার মেধা পরিশ্রম ও মানসিকতার মূল্য দিতেই টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯১ সালেই রতন টাটা চেয়ারম্যান হয়ে টাটা গ্রুপের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করেন।

আরও পড়ুনঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম এর জীবনী: একজন সাধারণ মানুষ থেকে ‘মিসাইল ম্যান’

26/11 হামলায় মানুষের পাশে রতন টাটা

২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলার সময় শহরজুড়ে নেমে এসেছিল আতঙ্ক ও শোকের ছায়া। বহু মানুষ প্রাণ হারান, অনেকে আহত হন, এবং অনেক কর্মী চাকরি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সেই ভয়াবহ সময়টিতে রতন টাটা (Ratan Tata) ছিলেন তাদের দৃঢ় আশ্রয়। তিনি শুধু অর্থনৈতিক সহায়তাই দেননি, ব্যক্তিগতভাবে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির বাড়িতে গিয়ে সান্ত্বনা দিয়েছেন। তাঁর মানবিক উদ্যোগ ও সহমর্মিতা প্রমাণ করে, তিনি কেবল একজন সফল শিল্পপতি নন, বরং একজন সত্যিকারের মানবিক নেতা।

রতন টাটার পুরস্কার সমুহ 

রতন টাটা (Ratan Tata) ভারতের অন্যতম শ্রদ্ধেয় শিল্পপতি ও সমাজসেবী হিসেবে নিজের জীবন ও কাজের মাধ্যমে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০০০ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০০৮ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত এই কিংবদন্তি শুধু টাটা গ্রুপকেই নয়, গোটা দেশকেই গর্বিত করেছেন। তাঁর অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রমাণ করে, ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নেও তাঁর অবদান অপরিসীম। রতন টাটা দেখিয়েছেন, ব্যবসা কেবল মুনাফার জন্য নয়—মানবতার সেবার মাধ্যমও হতে পারে। দৃঢ় সংকল্প, সততা, আর মানুষের কল্যাণে অটল মনোভাব—এই তিনের মেলবন্ধনেই তিনি হয়ে উঠেছেন নতুন প্রজন্মের প্রেরণা ও পথপ্রদর্শক।

Q1, রতন টাটার কয়টি সন্তান?

রতন টাটা বিয়ে করেননি এবং তাঁর কোনও সন্তানও নেই। তাঁর মতোই তাঁর ভাই জিমি টাটাও অবিবাহিত। রতন টাটা ও জিমি টাটা — দুজনেই নাভাল টাটা ও সুনি কমিসারিয়াতের সন্তান। টাটা পরিবারের এই দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে টাটা গ্রুপের সুনাম ও উত্তরাধিকার রক্ষা করে আসছেন, যেখানে রতন টাটা বিশেষভাবে পরিচিত তাঁর মানবিকতা, নৈতিক ব্যবসা এবং সমাজসেবার জন্য।

Q2, রতন টাটার সম্পদের পরিমাণ কত?

ব্যক্তিগত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে রতন টাটা নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই সংস্থাটি, যার নাম RNT Associates। ভারতের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগ করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। ২০২৩ অর্থবর্ষে প্রকাশিত আরএনটি অ্যাসোসিয়েটসের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্থার ১০০ শতাংশ মালিকানা রতন টাটার নিজের নামে রয়েছে। জানা গেছে, এখানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৯৬.৯৬ কোটি টাকা

Q3, রতন টাটার পুরো নাম কী?

রতন টাটার পুরো নাম রতন নেভাল টাটা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর বম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই)।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া, প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র

সোমবার সমাজমাধ্যমে আবারও রটে গেল বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর গুজব (Dharmendra Death)। হেমা মালিনীর জীবনসঙ্গী সত্যিই না ফেরার দেশে চলে গেলেন কি না, তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মুহূর্তেই দুশ্চিন্তা বাড়ে। বিষয়টি আরও জল্পনা তৈরি করে যখন জানা যায়, মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশানে হঠাৎ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছে যান হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওলসহ পুরো পরিবার। এই দৃশ্য দেখেই অনেকেই ধরে নেন ধর্মেন্দ্র হয়তো আর নেই। কিছু সূত্র দাবি করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তাই গুজবের সত্যতা স্পষ্ট নয়।

শ্মশানে পৌঁছলেন অমিতাভ এবং অভিষেক বচ্চন (Dharmendra Death)

একাধিক সূত্রের দাবি, ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর খবর মিলতেই তাঁকে শেষকৃত্যের জন্য মুম্বইয়ের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছে যে ‘শোলে’-র অন্যতম প্রধান মুখ, বলিউডের এই কিংবদন্তি অভিনেতা আর নেই। মিডিয়ায় ভেসে আসা রিপোর্টে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই শ্মশানে পৌঁছেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। একে একে বলিউডের আরও বহু পরিচিত মুখকেও সেখানে দেখা গিয়েছে। তবে এত সব খবরের মাঝেও পরিবার এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, ফলে পরিস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা আরও বেড়ে যাচ্ছে।

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন পরিচালক করণ জোহার

সোমবার, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বিখ্যাত অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর একটি পুরনো ছবি পোস্ট করে চলচ্চিত্র পরিচালক করণ জোহার লিখেছেন, “একটি যুগের সমাপ্তি… একজন বিরাট মেগা তারকা… মূল ধারার সিনেমার একজন নায়কের মূর্ত, অবিশ্বাস্যভাবে সুদর্শন এবং সবচেয়ে রহস্যময় পর্দার নায়ক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব কিংবদন্তি, সিনেমার ইতিহাসের পাতায় সংজ্ঞায়িত থাকবে এই মহান ব্যক্তিত্বের নাম। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি মানুষ হিসেবে একজন সেরা ব্যক্তি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সকলকে খুব ভালবাসতেন… তিনিও ছিলেন সকলের প্রিয়। তাঁর অপরিসীম ভালবাসা, আশীর্বাদ, আলিঙ্গন সবই খুব মিস করব।” ভারতীয় অভিনেতার আত্মার শান্তি কামনা করেই পোষ্টের শেষে ওম শান্তি লিখেছেন করণ। ভারতীয় পরিচালকের পাশাপাশি একে একে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে শোক জ্ঞাপন করছেন চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই।

উল্লেখ্য, নেট দুনিয়ায় ফের ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি তাঁর পরিবার। সূত্রের খবর, অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা কেউই এখনই মুখ খুলতে রাজি হননি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম এবং বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি যদি সত্যি হয়, তবে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে আর দেখা মিলবে না এই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার।

মাইগ্রেন কমাতে কফির জাদু! চিকিৎসকদের মতে কীভাবে খাবেন কফি?

দীপিকা সরকার, কলকাতা: মাথা ব্যথা হলে কফি খান—এটা অনেকেরই অভ্যাস। তবে মাথা ব্যথা আরও বাড়ে মাইগ্রেন রোগীরা কফি খেলে—এই ধারণা এবার বদলাতে চলেছে (Migraine Cure Tips)। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত এক চীনা গবেষণায় দাবি। নিয়মিত বেশি পরিমাণে কফি পান করলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের আশঙ্কা অনেক কমে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের মাইগ্রেনের সঙ্গে ‘অরা’ থাকে, তাঁরা ক্যাফেইনের কারণে অনেকটাই উপকার পেতে পারেন। চীনা গবেষকদের মতে, কফির ক্যাফেইন মস্তিষ্কের রক্তনালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

‘অরা’ কী? (Migraine Cure Tips)

‘অরা’ ঠিক কী—তা নিয়ে অনেকেরই ধারণা স্পষ্ট নয়। চিকিৎসকদের মতে, মাইগ্রেন রোগীদের প্রায় ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে অ্যাটাক শুরু হওয়ার আগে বা চলাকালীন কিছু বিশেষ উপসর্গ দেখা দেয়। যেগুলোকেই বলা হয় মাইগ্রেন অরা। এই সময়ে অনেকেরই চোখের সামনে হঠাৎ ব্ল্যাক-আউট দেখা দেয়। আলো বা শব্দে বিরক্তি বাড়ে, হাত-পা ঝিনঝিন করে, কখনও মাথা ঘোরা বা বমি-বমি ভাব হয়। এমনকি গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চীনা নতুন গবেষণাটি বলছে, যাদের মাইগ্রেনের সঙ্গে এই ‘অরা’ থাকে, কফিতে থাকা ক্যাফেইন তাঁদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজ করে।

চিনের নানচাং বিশ্ববিদ্যালয়ের আট গবেষক শুধু মাইগ্রেন নয়, আরও বেশ কয়েকটি স্নায়বিক রোগের ওপর কফির প্রভাব পরীক্ষা করেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল —অ্যালঝাইমার্স, অ্যামাইট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (ALS), মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, পার্কিনসন্স, স্ট্রোক, মাইগ্রেন—এমন স্নায়বিক সমস্যাগুলিতে কফির মধ্যে থাকা বিপুল ক্যাফেইন ঠিক কতটা কার্যকর। যন্ত্রণা, খিঁচুনি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনসহ বিভিন্ন শারীরিক প্রতিক্রিয়ায় ক্যাফেইন কীভাবে কাজ করে। সেটাও তাঁদের গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল। প্রায় এক দশক ধরে ৪০ হাজার মানুষের ওপর বিশাল এই সমীক্ষা চালিয়ে। চীনা গবেষকরা দেখেছেন—অন্য কোনও স্নায়বিক রোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ফল না মিললেও, মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে কফি সত্যিই অনেক টাই ভালো।

চীনা নতুন গবেষণাটি বলছে শুধু কফি খেলেই কাজ হবে না—সঠিক মাত্রায় খাওয়াটাই মূল বিষয়। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অনিমেষ কর জানান, এই গবেষণার ফল অনুযায়ী দৈনিক প্রায় ২০০ গ্রাম কফি খেলে তবেই মাইগ্রেন অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ভারতীয়রা সাধারণত যে অল্প পরিমাণ কফি পান করেন, তা মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে তেমন কার্যকর নয়। পেন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ দেবাঞ্জলি রায়ও জানান, ক্যাফেইনের কার্যকারিতা নতুন কিছু নয়। মাইগ্রেনের ওষুধে প্যারাসিটামলের সঙ্গে ক্যাফেইন যুক্ত করা হয় ঠিক এই কারণেই—ক্যাফেইন রক্তবাহিকার ফুলে ওঠা বা প্রদাহ অনেকটাই কমিয়ে দেয়, ফলে ব্যথা তীব্রতা কমে এবং অ্যাটাক সামলাতে সাহায্য করে।

FAQ

1. কফি খেলে কি মাইগ্রেন কমে?

খুব কম গবেষণায় এ বিষয়ে গভীরভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে যা পাওয়া গেছে তাতে উত্তরটা অনেকটাই ‘হ্যাঁ’—ক্যাফেইন সত্যিই কিছু ক্ষেত্রে মাথাব্যথা কম করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে একটি ছোট নিয়ন্ত্রিত গবেষণায় দেখা গেছে, টেনশন-জাতীয় মাথাব্যথা কমাতে ক্যাফেইন প্লাসিবোর চেয়ে কার্যকর, এমনকি অ্যাসিটামিনোফেনের মতোই ভালোভাবে কাজ করে।

2. প্রাকৃতিক উপায়ে মাইগ্রেন দূর করার উপায়?

গরম প্যাক বা হিটিং প্যাড ব্যবহার টানটান পেশীগুলো শিথিল করতে সাহায্য করতে পারে, ফলে মাথাব্যথা বা টেনশন কমে। উষ্ণ ঝরনা বা গরম স্নানও একই ধরনের আরাম দিতে পারে। এছাড়া, ক্যাফিনযুক্ত পানীয়ও প্রাথমিক পর্যায়ের মাইগ্রেন ব্যথা উপশমে কার্যকর হতে পারে, তবে অল্পমাত্রায় খাওয়া উচিত।

3. কোন ভিটামিনের অভাবে মাইগ্রেন হয়?

গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন (ভিটামিন B3), রিবোফ্লাভিন (ভিটামিন B2), কোবালামিন (ভিটামিন B12), কোএনজাইম Q10, কার্নিটিন, α-লাইপোয়িক অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কারণে অ্যাটাক বাড়াতে পারে।

সময়ের আগে FD ভাঙলেই বাড়বে ক্ষতি? RBI-র নতুন ৮ নিয়মে চিন্তায় গ্রাহকরা

মানুষের সঞ্চয় ও ঋণের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন মধ্যবিত্তদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর। ৫ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে যে, রেপো রেট ০.২৫% কমিয়ে ৫.২৫%-এ নামানো হয়েছে—এতে ঋণের সুদ কমতে পারে এবং সঞ্চয়ের সুদপ্রাপ্তিতেও প্রভাব পড়তে পারে। রিজার্ভ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি (MPC)-র ছয় সদস্যই রেপো রেট কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এরই সঙ্গে আরবিআই আরও ৮টি নতুন নিয়ম চালু করেছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলবে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়। বিস্তারিত জানতেই এই প্রতিবেদন।

Fixed Deposit ৮টি নতুন নিয়ম লাগু করল RBI

২০২৫ সালের শেষে এসে আরবিআই যে নতুন নিয়মগুলি চালু করেছে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই কৌতূহলী। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেভিংস অ্যাকাউন্টে তিনটি বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—এখন থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ের উপর দেশের সব ব্যাঙ্ক একই হারে সুদ দেবে। অর্থাৎ আপনার অ্যাকাউন্ট স্টেট ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি বা যেকোনও ব্যাঙ্কেই হোক, এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমার ক্ষেত্রে সবার জন্য সুদের হার একটাই থাকবে। পাশাপাশি সুদের হিসাব করাও আরও সহজ করা হয়েছে—গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন যে পরিমাণ টাকা থাকবে, দিনের শেষে সেই টাকার ওপরই সুদ গণনা করবে ব্যাঙ্ক। ফলে পুরো প্রক্রিয়াই হয়ে উঠবে আরও পরিষ্কার ও স্বচ্ছ।

এফডি-র নিয়মে বদল

রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন নির্দেশিকায় এবার এফডির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বড় পরিবর্তন এসেছে, আর সেগুলো সাধারণ মানুষের সুবিধার দিকটাই আরও বাড়াবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি এফডি পুরো মেয়াদ না মেনে আগেই টাকা তুলে নিতেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট জরিমানা কেটে নেওয়া হত। কিন্তু মানুষ প্রিম্যাচিওর টাকাতোলা নিয়ে সব নিয়ম আগে থেকে জানতেন না, ফলে শেষে গিয়ে অনেক সময়ই বিপাকে পড়তেন। এবার আরবিআই স্পষ্ট করে দিয়েছে—এফডি খুলতেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে গ্রাহককে জানাতে হবে যে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এফডি ভাঙলে কতটা সুদ পাওয়া যাবে, আর কতটা জরিমানা কাটা হবে। এমনকি চাইলে কোনও ব্যাঙ্ক আগাম এফডি ভাঙলে সুদ না-ও দিতে পারে, তবে সেটিও আগে থেকেই গ্রাহককে জানাতে হবে।

এছাড়াও নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, সব ব্যাঙ্কেই স্থায়ী আমানতের ন্যূনতম মেয়াদ সাত দিন রাখতে হবে। আর সবচেয়ে স্বস্তির বিষয়—এফডির ম্যাচিউরিটির দিনে যদি ব্যাঙ্ক ছুটি থাকে, তাহলে পরের কার্যদিবসেই গ্রাহক সুদ-সহ পুরো টাকা পেয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে নতুন নিয়মগুলি ব্যাঙ্কিং প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও ঝামেলাহীন করতেই এগিয়ে এসেছে আরবিআই।

২০২৬-এ শনি সৃষ্ট ধন রাজযোগ! বদলে যাবে ৩ রাশির ভাগ্য, লাভের সুযোগ অসীম

২০২৫ শেষের পথে, আর মাত্র এক মাস পরেই নতুন বছর ২০২৬। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পুরো ২০২৬ জুড়ে শনিদেব মীন রাশিতে অবস্থান করবেন (Shani Raj Yoga 2026)। এই সময়ে তিনি কখনও বিপরীতমুখী, কখনও সরাসরি—এভাবে নক্ষত্রমণ্ডলীতে বিভিন্নভাবে গোচর করবেন। পাশাপাশি শনি অস্ত ও উদিতও হবেন বছরের বিভিন্ন সময়ে। শনি যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, তার প্রতিটি পরিবর্তন মানুষের জীবন, কর্ম, স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থায় কোনও না কোনওভাবে প্রভাব ফেলবে বলেই জ্যোতিষশাস্ত্র মনে করে।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ১৩ মার্চ ২০২৬ শনি অস্তে যাবে এবং তারপরে মীন রাশিতে সূর্যের গোচরের কারণে শনি কিছুদিন আড়ালে থাকবে। প্রায় ৪০ দিন অস্ত থাকার পর ২২ এপ্রিল ২০২৬ শনি উদয় হবে। আর এই উদয়ের মুহূর্তেই তৈরি হবে শক্তিশালী ধন রাজযোগ (Shani Raj Yoga 2026)। এই বিরল যোগ নাকি তিনটি রাশির জীবনে বিশেষ সৌভাগ্য, উন্নতি, অর্থলাভ ও নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে। কোন তিন রাশি সেই সৌভাগ্য লাভ করবে? বিস্তারিত জানতে পড়ে ফেলুন পুরো প্রতিবেদন।

বৃষ রাশি (Shani Raj Yoga 2026)

শনির উদয়ের পর বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্য যেন একেবারে নতুন মোড় নিতে পারে। কর্মজীবন, চাকরি কিংবা ব্যবসা—সব ক্ষেত্রেই বাড়বে অগ্রগতি। বিশেষ করে আর্থিক দিক থেকে মিলতে পারে একের পর এক সুযোগ, এমনকি নতুন উৎস থেকেও আসতে পারে উপার্জনের রাস্তা। বিনিয়োগ করা থাকলে সেখান থেকেও মিলতে পারে উল্লেখযোগ্য লাভ। পাশাপাশি সামাজিক সম্মান, পরিচিতি এবং খ্যাতি—সবই ধীরে ধীরে বেড়ে পৌঁছতে পারে নতুন উচ্চতায়। বলা যায়, শনির এই উত্থান বৃষ রাশির জন্য হতে পারে সত্যিকারের সৌভাগ্যবর্ধক সময়।

মিথুন রাশি (Shani Raj Yoga 2026)

মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য এই ধনরাজ যোগ কেরিয়ারে প্রচুর উন্নতির সুযোগ ঘটাতে পারে। বেকারার চাকরির সুযোগ পেতে পারে। পাশাপাশি যোগ্যরা পদোন্নতি পাবে। নতুন চাকরির প্রস্তাব আসতে পারে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ করতে হবে। ভাগ্য সহায়ক হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য এই সময়টি খুবই ভালো। আর্থিক লাভের সম্মুখীন হতে পারেন এবং ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

মকর রাশি(Shani Raj Yoga 2026)

শনির তৈরি ধন রাজযোগ মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে শক্তি, সাহস ও প্রতিপত্তি একসঙ্গে বাড়িয়ে দেবে। এই সময়ে আপনি বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারবেন এবং তা অর্জনের ক্ষমতাও বাড়বে। নতুন কোনও প্রকল্প শুরু করার জন্য সময়টি একেবারে অনুকূল—চাকরি, ব্যবসা, স্টার্টআপ, যেকোনো ক্ষেত্রেই মিলতে পারে সাফল্যের ইঙ্গিত। সম্পত্তি বা নতুন যানবাহন কেনার সম্ভাবনাও জোরালো। পাশাপাশি পরিবার, সঙ্গী বা সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত ও সহায়ক হয়ে উঠবে। মোট কথা, মকর রাশির জন্য এটি হবে স্থিতি, সাফল্য ও আর্থিক উন্নতির সময়।