সোনা-রুপো: বিয়ে হোক বা উৎসব, কিংবা নিরাপদ কোনও বিনিয়োগ—সোনা-রুপো (Gold & Silver) বাঙালির জীবনের সঙ্গে যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের কাছে এই মূল্যবান ধাতু শুধু অলঙ্কার নয়, বরং ভবিষ্যতের ভরসাও। তাই স্বাভাবিকভাবেই সোনার দামের ওঠানামা দেখলে মানুষ একটু চিন্তায় পড়েন। এর মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। এখন থেকে আরব দেশগুলো থেকে সোনা, রুপো এবং প্ল্যাটিনাম আমদানির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম লাগু হয়েছে, যা কার্যকর হয়েছে ১ মে, ২০২৫ থেকে।
বাণিজ্য মন্ত্রক কী বলছে?
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (DGFT) জানিয়েছে, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) মধ্যে যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে, তার আওতায় সোনা ও রুপোর আমদানির নীতিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ২০২৫ সালের বাজেট ও কাস্টমস নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নেওয়া হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এই মূল্যবান ধাতুগুলোর আমদানি নিয়মে কিছুটা কড়াকড়ি বা নিয়ন্ত্রণ দেখা যেতে পারে।
কী থাকছে নয়া নিয়মে?
জানা গেছে, সোনা, রুপো এবং প্ল্যাটিনামের ক্ষেত্রে নতুন করে সংশোধিত HS কোড (পণ্যের শ্রেণিবিন্যাসের কোড) জারি করা হবে। পাশাপাশি, কে বা কারা এই মূল্যবান ধাতু আমদানি করতে পারবে, সেই নিয়েও নির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সরকার। তবে যাঁরা ভাবছেন সবাই এই সুযোগ পাবে, তাদের জন্য বলি—এটা কিন্তু শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্যই খোলা। শুধুমাত্র RBI-র মনোনীত সংস্থাগুলি, DGFT এবং ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল বুলিয়ান এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে IFSCA স্বীকৃত জুয়েলার্সরাই এই ধাতুগুলি আমদানি করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
আর এই নতুন নিয়মে সোনা-রুপোর গুনমানের উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, প্ল্যাটিনাম, সোনা এবং রুপোর ক্ষেত্রে এবার বিশুদ্ধতা যাচাই করা বাধ্যতামূলক। আর সেই সঙ্গে লাইসেন্স যুক্ত সংস্থার মাধ্যমে ধাতুগুলিকে আমদানি করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।