SWASTHYA SATHI CARD: সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড সত্যিই এক বড় সহায়ক। এবার সেই কার্ডের মাধ্যমেই সম্ভব হতে চলেছে এক অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা — বোন ম্যারো প্রতিস্থাপন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই এই চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে।
অতি সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷ সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হবে বিনামূল্যে । এর জন্য রোগী পিছু পাঁচ লাখ টাকা খরচ করবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের মাত্র 9টি হাসপাতালে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয় । যার মধ্যে মাত্র দু’টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে । তার মধ্যে একটি হল, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল । যেখানে 2009 সালে শুরু হয় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট । অন্যটি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ।
জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন বহু রোগী। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই মুহূর্তে ১৪৫ জন রোগী অপেক্ষমাণ, আর সল্টলেকের কাছে বাইপাসের ধারে অবস্থিত বেসরকারি অ্যাপালো হাসপাতালে অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ২৫৬ জন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও ১০৫ জনের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ার প্রয়োজন। টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ৮৮৭ জন। এছাড়া ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা ১৩৪ জন। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, কতজনই বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সব খবর
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ডঃ তুফানকান্তি দোলুই জানিয়েছেন, “আমাদের হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারটি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়। স্বাস্থ্যসাথী স্কিমে এই সুবিধা চালু হওয়ায় আশা করা যায়, এই সংখ্যাটা অনেক বাড়বে এবং আরও বেশি রোগী সহজে এই চিকিৎসা পাবে।”


