আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি, তারপরেই বিহারে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন (Bihar Assembly Election 2025)। এবারের ভোটগ্রহণ হবে দুই দফায় — প্রথম দফা ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর, আর ফলাফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। ইতিমধ্যেই ভোটের ময়দানে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। এরই মাঝে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ভোটকুশলী ও জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন না, বরং দলের সংগঠন শক্তিশালী করার কাজেই মন দেবেন।
তালিকায় নাম নেই প্রশান্ত কিশোরের
বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রাতে জন সুরাজ পার্টি তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। আর সেই তালিকাতেই নজর কাড়ে একটি নামের অনুপস্থিতি—পিকে ওরফে প্রশান্ত কিশোরের। তালিকা প্রকাশের পরই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তীব্র জল্পনা, শেষ মুহূর্তে এমন কী ঘটল যে পিকে প্রার্থী হচ্ছেন না? এর আগে তিনি নিজেই বলেছিলেন, প্রার্থী হলে বৈশালী জেলার রাঘোপুর কেন্দ্র থেকেই লড়বেন। কিন্তু প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, রাঘোপুর থেকে জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন চঞ্চল সিংহ, আর কারগাহার কেন্দ্র থেকে লড়বেন রীতেশ রঞ্জন। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকলেও, অবশেষে প্রশান্ত কিশোর নিজে মুখ খুলে জানালেন, কেন তিনি এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
নাম না থাকার ব্যাখ্যা দিলেন প্রশান্ত কিশোর
সর্বভারতীয় এক সংবাদসংস্থা PTI-কে প্রশান্ত কিশোর স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, ‘‘জন সুরাজ পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না-করে আমার সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করা উচিত। যদিও দল দলের মতো ঠিক কাজ করছে, আমি এবার সংগঠনের কাজেই মন দেব।’’ শুধু তা-ই নয়, এদিন তিনি এও স্পষ্ট ভবিষ্যদ্ববাণী করে জানিয়ে দিয়েছেন যে এ বারের ভোটে বিহারের ‘পরাজয়’ হবে এনডিএ-র। তাঁর কথায়, ‘‘বিহার থেকে বিদায় নেবে এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আর ফিরে আসবেন না নীতীশ কুমার।’’ এছাড়াও পিকে এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এবারের নির্বাচনে জেডিইউ ২৫টির বেশি আসন পাবে না। গত নির্বাচনে চিরাগ পাসওয়ানের বিদ্রোহের কারণে জেডিইউ-র আসন সংখ্যা নেমে এসেছিল ৪৩-এ। এখন পরিস্থিতি আরও জটিল।
উল্লেখ্য, বিহারের প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মোট ১২১টি আসনে। এই পর্বের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর, অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত। প্রার্থীরা চাইলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারবেন। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে মোট ১২২টি আসনে, যার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনও ২০ অক্টোবর নির্ধারিত হয়েছে। দুই দফার ভোটগণনা একসঙ্গে হবে ১৪ নভেম্বর। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচনের এই উত্তপ্ত মরশুমে প্রশান্ত কিশোরের সিদ্ধান্ত এবং তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী কতটা বাস্তবে মেলে।
সব খবর


