কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল এখন শিশু রোগীতে ভরে উঠছে, কারণ সাম্প্রতিক সময়ে RS Virus-এর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। গত কয়েকদিনে বহু ছোট্ট শিশু জ্বর, গলা ব্যথা আর শরীরের ব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডাক্তারদের মতে, এই ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকেরা স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তায় আছেন। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও সংক্রমণের ঘটনা মিলছে, তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি, যা চিকিৎসকদের উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে।
হাসপাতালে হু হু করে বাড়ছে শিশুদের সংখ্যা
ABP-র রিপোর্টে জানা গেছে, মাত্র এক মাসে পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ৪১ জন শিশু ভর্তি হয়েছে এবং তাদের সবার রিপোর্টেই RS ভাইরাস ধরা পড়েছে। একই পরিস্থিতি শহরের অন্য হাসপাতালগুলিতেও দেখা যাচ্ছে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে তিন-চার দিন পর হালকা জ্বর শুরু হচ্ছে, কারও আবার উপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণে গলা ব্যথা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, বেশিরভাগ রোগী ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-তেও আক্রান্ত হচ্ছেন। এক চিকিৎসক জানান, “অনেকেই দুর্বলতা, তীব্র গলা ব্যথা আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। যদিও ভর্তির মতো তীব্র লক্ষণ নয়, তবু পাঁচ-সাত দিন ধরে সমস্যা চলতে থাকায় রোগীরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন। এর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কাশি আর গলা ব্যথাই এখন সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে।”
RS ভাইরাস বা রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল এখন সকলের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়দেরও হচ্ছে। তবে এই ভাইরাস সবার আগে জাঁকিয়ে বসছে শিশুদের দেহে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। তবে আক্রান্ত হতে পারেন ষাটোর্ধ্বরাও।
RS Virus এর উপসর্গ কী কী?
এই বিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহেলি দাশগুপ্ত জানান, RS ভাইরাসে আক্রান্তদের উপসর্গ অনেকটা অন্যান্য ভাইরাসজনিত অসুস্থতার মতোই—জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি, খাওয়ায় অরুচি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমন পোদ্দার বলেন, শুধু সরকারি নয়, শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস ধরা পড়ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, পার্ক সার্কাসের ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে গত এক মাসে পরীক্ষার মাধ্যমে ৪১ জন শিশুর শরীরে RS ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।